শিশুকে ধন্যবাদ দিতে শেখান। ছবি : সংগৃহীত
আচরণেই বংশের পরিচয়- প্রবাদটি হয়তো সবারই জানা। আসলে কিন্তু তাই। আচরণ দিয়েই বোঝা যায় একটি মানুষ কী ধরনের পরিবেশ থেকে বেড়ে ওঠেছে বা তার পারিবারিক শিক্ষা কেমন।
আর এই আচরণ বা আদবকেতার শিক্ষাটা হয় কিন্তু শিশু বয়স থেকে । এটি শিশুকে চমৎকার ব্যক্তিত্বের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শিশুর জন্য জরুরি কিছু আদবকেতার কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট অল প্রো ড্যাড।
১. অন্যকে আগে দেওয়া
কোনো জিনিস শুরুতে নিজে না নিয়ে অন্যকে দেওয়া শিশুকে আদবকেতা শেখানোর প্রথম স্তর। যেমন : দরজা খুলে প্রথমেই নিজে না বের হয়ে পাশে কেউ থাকলে তাকে বের হতে দেওয়া, খাবার টেবিলে বসে শুরুতেই নিজের জন্য খাবার না নিয়ে অন্যকে দেওয়া ইত্যাদি। একজন ভদ্র মানুষ হতে এসব শিক্ষা শিশুর জন্য জরুরি।
২. ফোনে বিনয়ীভাবে কথা বলা
সুন্দর করে কথা বলা একটি শিল্প। শিশুকে ফোনে সুন্দর করে ও বিনয়ীভাবে কথা বলতে শেখান। এটি সুন্দর পারিবারিক শিক্ষার লক্ষণ।
৩. ধন্যবাদ দিতে শেখান
শিশুকে শেখান ধন্যবাদ দিতে। এটি সহজ, কিন্তু শক্তিশালী। শিশুকে এই অভ্যাসে অভ্যস্ত করে তুলুন।
৪. বাড়িতে অতিথি আসলে খেতে বলা
বাড়িতে অতিথি আসলে খেতে বলতে হয়- এই শিক্ষাটি শিশুকে দিন। এটি একটি প্রাথমিক শিক্ষা। এটি খুব ছোট একটি বিষয়। তবে একে রুটিনে পরিণত করুন। শিশুর বয়স যতই হোক, তাকে বিষয়টি শেখান।
৫. খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়া
খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়া ভদ্র ব্যক্তিত্বের লক্ষণ। এটি শিশুকে শেখান। এ ধরনের ছোট ছোট অভ্যাস শিশুকে চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে সাহায্য করবে।(সংগৃহীত)