তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সবার জন্য অসীম তথ্যভাণ্ডার এবং বিনোদনের সীমাহীন দ্বার উন্মুক্ত করেছে। শিশুরাও এর ব্যতিক্রম নয়। শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য ইন্টারনেটের যেমন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, একইভাবে এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। তবে সামান্য সচেতন হলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে শিশুদের রক্ষা করা সম্ভব।
স্বাস্থ্যকরভাবে মোবাইল ও কম্পিউটার যন্ত্র ব্যবহার করার জন্য খাবার এবং ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা উচিত বলে বলছেন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ চারজন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা।
-প্রতি ঘণ্টা অন্তর শিশুদের অবশ্যই মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে চোখ সরানো উচিত, তারা বলছেন।
-শিশুদের নিরাপদ রাখতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আরো ভূমিকা রাখা উচিত বলে তারা মনে করেন।
-নিজের ক্ষতি এবং আত্মহত্যার মতো প্রবণতা রুখতে ইন্সটাগ্রামের সঙ্গে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বৈঠক করতে যাচ্ছেন, এমন খবর প্রকাশের সময় এই তথ্য জানা গেল।
-ইন্সটাগ্রামের কিছু উপাদানের কারণে কিশোরী মলি রাসেলের আত্মহত্যার জের ধরে এই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ফেসবুকের মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রাম তার সন্তানকে হত্যায় সহায়তা করেছে।
-যন্ত্র ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা এবং পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনর প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তারা, যেগুলো অনুসরণ করে শিশুদের নিরাপদ রাখা যেতে পারে।
-খাবারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। কারণ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্পগুজব করাটা উঠতি বয়সের সন্তানদের জন্য খুব ভালো হয়।
-ঘুমানোর আগে থেকেই বা বিছানায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অভ্যাস পরিত্যাগ করা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অনলাইনের নিরাপদ থাকার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা, যাতে তারা ইন্টারনেটের হয়রানি বা উস্কানি সম্পর্কে সতর্ক হয়। এরকম পরিস্থিতি দেখা গেলে তাদের কি করা উচিত, সেটাও ঠিক করে রাখা।
-রাস্তা পারাপারের মতো যেসব ঘটনায় পুরো মনোযোগ দরকার, এরকম সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। প্রতি ঘণ্টা অন্তর শিশু-কিশোরদের অবশ্যই যন্ত্রের পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে হাঁটাচলা বা অন্য কোন ধরণের কাজ করতে হবে।
-অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের প্রতি ঠিকঠাক মনোযোগ দেয়া এবং সবাইকে নিয়ে পারিবারিক সময় কাটানো।
-ব্রিটেনের গবেষকদের একটি দল বলেছেন, যদিও বেশ কয়েকটি গবেষণায় মোবাইল পর্দার সঙ্গে রাগ ও বিষণ্ণতার মতো নেতিবাচক ফলাফলের মিল পাওয়া গেছে, কিন্তু এ নিয়ে এখনি কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।
-এমনটা হতে পারে যে, যাদের আগে থেকেই মানসিক সমস্যা রয়েছে, তারাই যন্ত্রের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন, বলেছেন একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ডেমি স্যালি।
তা হলেও, এ ব্যাপারে আরো গবেষণা করে পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক হওয়া দরকার, আর সেজন্যই অভিভাবকদের জন্য এসব পরামর্শ।
-যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অফ সাইকিয়াট্রিস্টসের ড. বের্নাদকা ডুবিকা বলেছেন, মোবাইল পর্দা এবং মানসিক সমস্যার সঙ্গে কোন যোগসূত্র আছে কিনা, তা নিয়ে এখনো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা ঠিক যে, ইন্টারনেটে অল্পবয়সীদের জন্য রাগ, আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি করার মতো উপাদান রয়েছে, যা কারো জন্য নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।(সংগৃহীত)
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…
হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…
বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…
Leave a Comment