আনু পুরাণ!

১:

অনিন্দিতার হাজার ফ্যাড়া, সপ্ন হাজার নিপুন বোনা

অনিন্দিতা দারুন ভালো, বাপের বেটি… মায়ের মেয়ে….. লক্ষিসোনা।

অনিন্দিতা জানে ঠিকই হাজার চোখের হাজার ভাষা..

জানা মানেই সব শোনা নয়, অনিন্দিতা চোখ পড়েনা।

চোখের ভাষা, মুখের জাদু ছাড়ো ওসব, অনিন্দিতা ভাঙা হৃদয় দেখেও কভু ‘রা’ করেনা ।

২:

এমন সময় রামতা যোগী বললো এসে, “করি কি হায়! ফেলেছিগো ভালবেসে…..!!”

অনিন্দিতা নিজেও অবাক, এই সাধুটা কথাও বলে? দারুণ সবাক!

বললো, তবে শোন বাবা… বললে সাধু নামটি আমার জ্ঞানেন্দ্রনাথ, কসবা থানা।

আনু এবার মুচকি হাসে…আচ্ছা তবে শোন এবার

দিতে পারি একটি সুযোগ, চাঁদ হাতে চাই, চাঁদ এনে দাও।

বললে সাধু এমন কি আর? পদ্ম পুকুর রোজ নিশিথে চাঁদের খোয়াড়.. আজ রাতে নাও।

৩:

বিরক্ত খুব বলল আনু,
কথাই শুধু বলতে পার হাজার রকম,

পাতালপুরীর খুব গভীরে নামো যদি, তক্ষ নাগের মাথার মনি রাখা আছে দারুন গরম।

ইচ্ছে পূরন হবে তাতে, দাও এনে দাও…

বললে সাধু স্মিত হেসে, ইচ্ছে পূরন হতে পারে অনায়াসে

এই পৃথিবীর সবটুকু চাও? স…বটুকু নাও, মিষ্টি হেসে চাওগো শুধু ভালবেসে।

মাধুকরি!! চমকে ওঠে অনিন্দিতা, বুঝলো সাধু ঢিট ভীষণ, কথার রাজা।

৪:

বললো তবে শোন বাবা জ্ঞানেন্দ্রনাথ, কসবা থানাএ…

আষাড় মাসের ২৮ তারিখ চন্দ্রগ্রহন, পরশ পাথর আনো যদি

করবো তবে তোমায় বরন, আর কথা নয়।

বলে আনু থামলো শেষে, নীলপরীদের পালক বোনা

দোলা এসে থামলো পাশে, হীরক রাজার সামান্য ভেট।

৫:

জ্ঞানের কথা জানত বটে জ্ঞানেন্দ্রনাথ, পরশ পাথর?

“কোন পাহাড়ের গুহায় তুমি?”… বজ্রনিনাদ!! কেউ এলো না।

“কোন দিঘিতে কোন বোয়ালের পেটের ভিতর?” থই পেলোনা।

“কোন মরুতে বালিয়াড়ির মধ্যে রাখা?” খাঁখাঁ সবই সই লাগেনা।

৬:

ঢিপ ঢিপ ঢিপ… বুঝলো সাধু অবশেষে, পরশ পাথর কোথায় আছে,

এই বুঝি চাই? এই তবে সই, প্রথম প্রেমের প্রথম প্রদান!

হাসলো সাধু, এই বুঝি হয় দেবীর বিধান?

৭:

২৮ তারিখ আষাড় মাসে, ঘন কালো মেঘে ঢাকা মধ্যাকাশে

কেউ দেখেনি চন্দ্রগ্রহন, মুদ্ধ সবাই-

সোনার মত দিপ্তি ছড়ায় অনিন্দিতার কাজল নয়ন।