সাম্প্রতিক শিরোনাম

করোনায় মৃত্যু কোনও জুজুর ভয় নয়-আইজিপি

করোনায় মৃত্যু কোনও জুজুর ভয় নয়। এটা কিন্তু রিয়েল ফ্যাক্ট। তাই যে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হয়েছে, সেটা সবাই মেনে চলুন।’সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহ গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। এক্ষেত্রে গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ঈদুল ফিতর ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ফেরিঘাটে আটকা পড়াদের অনুরোধ, দয়া করে আপনারা যে যেখানে ছিলেন সেখানে ফিরে আসুন। যারা আটকে আছেন তাদের ফেরার জন্য প্রয়োজনে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে বেঁচে থাকলে আরও অনেকবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা যাবে। কিন্তু মারা গেলে কিংবা করোনা আক্রান্ত হলে এখানেই শেষ। তাই আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, সরকারি যে নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে সেসব মেনে চলুন।

দয়া করে কেউ ঝুঁকি নেবেন না। আপনি যেখানে আছেন সেখানেই অবস্থান করুন। যে পরিবারের কাছে যাচ্ছেন ঈদ করার জন্য, সেখানে করোনা সংক্রমণ ছাড়ানোর শঙ্কা তৈরি করবেন না।

আইজিপি বলেন, শপিংমলগুলো খোলা হয়েছে। আমরা মার্কেট সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি, এসব বিষয়ে সরকার নির্দেশ জারি করেছেন। শপিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি বা সুরক্ষা বিধিগুলো অবশ্যই আমাদের মেনে চলতে হবে।

এক্ষেত্রে মার্কেট সমিতি, সেলসপার্সন, ক্রেতা সবাই বিষয়গুলো মানবেন। ৫ দোকান দেখে ১০ দোকান দেখে এক দোকানে শপিংয়ের যে আমাদের কালচার আছে, সেটাকে এবার পরিহার করাই ভালো। শপিংয়ের বেলায় আপনারা সতর্ক থাকবেন, যেন এটাই আপনার জীবনের শেষ শপিং না হয়।

বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, করোনায় মৃত্যু কিন্তু কোন জুজুর ভয় নয়, এটা রিয়েল ফ্যাক্ট। তাই যে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হয়েছে, আমরা যেন সেসব মেনে চলি। তাহলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বৈশ্বিক এ দুর্যোগ থেকে জাতি ও দেশের জনগণকে রক্ষা করতে পারবো।

করোনা ভাইরাসে প্রতিরোধে দেশের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশ প্রধান বলেন, এখন দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্যোগ মোকাবিলা করা। সেজন্যেই জনগণের সহযোগিতা দরকার। ঈদের দিন আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য বাড়ি থেকে বের না হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, কিছু লোকের তৎপরতায় সোস্যাল মিডিয়া দুষিত হয়ে গেছে। স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম একসঙ্গে লড়ছে।

ব্যক্তিগত গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের জন্য যারা গুজবের মতো অপরাধমূলক কাজ করছেন তাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আইজিপি।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...