সাম্প্রতিক শিরোনাম

জনগনের জীবনমান উন্নত করতে প্রথম প্রয়োজন নিরাপত্তা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের সেবক হচ্ছে পুলিশ, তারা যেকোনো দুর্যোগে জাতির পাশে দাঁড়ায়। তাই তাদের অবদান অপরিসীম। পুলিশের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি আমি।রোববার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে সুশৃঙ্খল ও নয়নাভিরাম বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে যখন সরকারে আসি তখন তাদের রেশন বাড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছিলাম।
ঝুঁকিভাতা থেকে শুরু করে অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করেছিলাম। প্রমোশন ও লোকবলও বৃদ্ধি করেছিলাম। দ্বিতীয় দফায় যখন আসি, এসেই পুলিশের জনগণ বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছি। বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষের যোগাযোগের জন্য আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করছি। পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।
বিশেষ করে নিরাপদ সড়ক যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আমাদের পথচারীরা অনেক সময় ট্রাফিক আইন অমান্য করে। তারা কোন রুলস মানে না, যত্রতত্র পারাপার হয় এবং অনেকে রুলস না মেনেই গাড়ি চালায়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি, স্কুল জীবন থেকেই ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেয়া এবং মানা একান্ত কর্তব্য।শেখ হাসিনা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। এজন্য সাইবার ক্রাইম একটা আইন করে দিয়েছি।
গুজব রটনা করে যারা মানুষের ক্ষতি করে জানমাল ধ্বংস করে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক এবং জনবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের জনবল আমরা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করেছি এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছি।
নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করে পুলিশের পদোন্নতির ব্যবস্থা করেছি। পুলিশ বাহিনীতে গ্রেড ওয়ান এবং গ্রেট দুই সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি।তিনি আরও বলেন, পুলিশের জন্য কল্যাণ ফান্ড করেছি এবং কমিউনিটি ব্যাংক করেছি, যাতে কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে এই ব্যাংক পরিচালিত হয়।
এখান থেকে পুলিশ সদস্যরা খুব সহজেই ঋণ নিতে পারবেন। পুলিশ সদস্যরা অবসর নেয়ার পরও এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন। পুলিশ সদস্যদের সুবিধা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে এ ব্যাংক করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের জন্য কেন্দ্রীয় হাসপাতাল নির্মাণ করেছি। তাছাড়া বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে পুলিশের বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যানবাহনের সমস্যা পুলিশের সব সময় থাকে, এটাও মেটানোর জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...