ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রকে (এসএস ভদ্র) অপসারণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির বৈঠকে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থিতি ও তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সদস্য বেনজীর আহমদ।
বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এ ছাড়া বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আহমেদ ফিরোজ কবির, মো. নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা, জাকিয়া পারভীন খানম ও অপরাজিতা হক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, গ্রামের জনসাধারণকে ডিজিটাল সেবা দেওয়ার কথা বলে শত শত কোটি লোপাটের অভিযোগ ও করোনা পজিটিভ হয়েও গণভবনে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ ছাড়াও তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে একমত হয়েছেন করেন কমিটির সদস্যরা।
বৈঠকে উপস্থিত মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রের সামনেই তাকে নিয়ে সংসদীয় কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। এসময় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মন্ত্রীও একমত পোষণ করেন।
ডাক বিভাগের বর্তমান মহাপরিচালক কেনা-কাটা থেকে শুরু করে ডিজিটাল পোস্ট সেন্টার স্থাপনে অনিয়ম করেছেন।
অনেক স্থানে ডিজিটাল সেন্টারের অস্তিত্ব না থাকলেও সেই সেন্টারের নামে টাকা তুলে নিয়েছেন। ডাক বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও বিষয়টি তদন্ত করছে। ওই তদন্ত চলাকালে গত ১৪ আগস্ট সকালে জাতির জনকের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, ডেটা কার্ড উন্মোচন ও বিশেষ খামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অন্যান্যের সঙ্গে তিনিও গণভবনে গিয়েছিলেন।
অথচ তখন তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে টেবিলে বসে উদ্বোধনী খাম, স্মারক ডাকটিকিট এবং ডেটা কার্ড উন্মোচন কাজে স্বাক্ষর করেছেন সেই টেবিলের পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন সুধাংশু শেখর ভদ্র।