সাম্প্রতিক শিরোনাম

দাম কম হলেও চামড়া নষ্ট হয়নি- দাবি তদারক দলের

চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণেই বেশি জোর দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে গঠন করে দেওয়া এ সংক্রান্ত বিভাগীয় তদারক দল।

এবার বিচ্ছিন্নভাবে ছাগলের কিছু চামড়া নষ্ট হলেও গরুর কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি। তবে অনেক কম দামে কেনাবেচা হয়েছে বলে স্বীকার করেন তাঁরা।

কোরবানির আগেই পাইকার, আড়তদার ও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা  চালানো হয়েছে, যাতে প্রথমেই কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়; এর পর বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন চামড়া। এর পর সুবিধামতো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই চামড়া অবিক্রিত থাকার তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি এবং নষ্টও হয়নি।

আড়তদাররা তো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেনই। ঈদ ও এর পর আজ সোমবার পর্যন্ত যেসব চামড়া বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে গরুর চামড়া কোনো কোনো বিভাগে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা এবং কোথাও ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। কিছু চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

দাম চামড়ার জন্য অনেক কম হলেও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়নি। কারণ তারা কিনেছেনও কম দামে। লবণ দেয়া চামড়া কেউ বিক্রি করতে না পারলে সরকার সহযোগীতা করবে বলেও জানান তারা। কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন থাকায় এবং কোরবানি কম হওয়ায় এবার চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তেমন নেই বলেও জানান তারা। বিভিন্ন বিভাগের মনিটরিং টিমের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।

গত ২৭ জুলাই কোরবানির কাঁচা চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিশ্চিত করতে বাড়তি উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিন স্তরের তদারক কমিটি বা টিম করা হয়। ঈদের আগের দিন থেকে কাজ শুরু করে দলটি। এর প্রথমটি হলো বিভাগভিত্তিক তদারক দল (মনিটরিং টিম)। ঢাকা ছাড়া সব বিভাগের জন্য আলাদাভাবে গঠিত এই টিম মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। দলটি প্রান্তিক পর্যায়ে, অর্থাৎ মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা যাতে চামড়াগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেন, তা নিশ্চিতে প্রচার-প্রচারণা করে, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে চামড়া বিক্রির আশ্বাস দিয়েছে, আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে চামড়া সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করে এবং সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে যাতে কেনাবেচা না করেন সে বিষেয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছেন। গতকাল রবিবার (২ আগস্ট) এই প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে জানান তারা।

চট্টগ্রামের টিমের সদস্য ও আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের নিয়ন্ত্রক আব্দুর বলেন, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত কোনো চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিয়েছে বা নষ্ট হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি। আমরা ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত দামে যাতে বেশি দামে চামড়া না কেনেন সেজন্য পরামর্শ দিয়েছি। বেশি দামে কিনলে লোকসান হয় এবং বিক্রি করতে পারে না। এছাড়া সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার বিষয়ে বুঝিয়েছি। সে অনুযায়ী মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও এবার লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করেছে। ফলে আপাতত কেউ বিক্রি করতে না পারলেও নষ্ট হয়নি। চট্টগ্রামে মাহানগরে এবার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় চামড়া বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিলেট বিভাগের টিমের দায়িত্বে রয়েছেন টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী মো. ইসমাইল মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি চামড়া সংরক্ষণে। এতে চামড়ার বেচাকেনা হয়তো কম হয়েছে। কিন্তু নষ্ট হয়নি। এখন যদি কেউ নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে না পারে তবে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’ তাঁর দাবি এবার সিলেটে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে খবর পাওয়া গেলেও গরুর কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি। তবে বিক্রি হয়েছে কম দামে, ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়। সিলেটে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ী, আড়তদার ও কিছু কিছু পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সংরক্ষণ হয়েছে বলে জানান তিনি।

একই রকম বক্তব্য ময়মনসিংহ বিভাগের দল প্রধান মাহমুদুল হাসানসহ অন্যদেরও।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সহায়তা দিতে কন্ট্রোল সেলে চারজন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়। তাঁদের মোবাইল নম্বরগুলো হচ্ছে ০১৭১১-৭৩৪২২৫, ০১৭১৬-৪৬২৪৮৪, ০১৭১৩-৪২৫৫৯৩ এবং ০১৭১২-১৬৮৯১৭।

নম্বরগুলোতে ফোন দিলে কেউ না কেউ ধরবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এছাড়া একটি মনিটরিং কমিটিও রয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...