সাম্প্রতিক শিরোনাম

মাধ্যমিক স্তরের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে আসতে চায়

দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে। এর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে আসতে চায় এবং স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন ৭৬ শতাংশ অভিভাবক।

গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।

অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত জানান।

বেসরকারি এ শিক্ষা জোট স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ধাপে ধাপে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ঘোষণা দেওয়া প্রয়োজন বলে সুপারিশ দিয়েছে।

গবেষণা ফলে জানানো হয়, ৭৩ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন। ৮০ শতাংশ এনজিও কর্মকর্তা একই মতামত দিয়েছেন। ৫৮ শতাংশ শিক্ষক, ৫২ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন।

৮২ শতাংশ শিক্ষক স্কুল খুলে দেওয়ার আগে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজার ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

আর ৭৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টির ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করেছেন।

৯০ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস তৈরিতে অভিভাবকরা তাদের সচেতন করবেন।

দেশের আট বিভাগ থেকে আট জেলার ২১টি উপজেলায় এ জরিপ কার্যক্রম চালিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ডিসেম্বরের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে মোট দুই হাজার ৯৯২ জনের কাছে তথ্য নেওয়া হয়।

এর মধ্যে এক হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী, ৫৭৮ জন শিক্ষক, ৫৭৬ জন অভিভাবক, ৪৮ জন উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক কর্মকর্তা, ১৬ জন জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক কর্মকর্তা মতামত দেন।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জরিপে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এসময় জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৬২ শতাংশের অধিক শিক্ষক মনে করেন শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা দরকার।

১৫ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে যে বিষয়গুলো পড়ানো সম্ভব হয়নি এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া উচিত।

৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত হলো, যে সববিষয় পড়ানো হয়নি তা আগে পড়ানো হোক। প্রায় ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে অপঠিত পাঠগুলোও বিবেচনায় রেখে নতুন পাঠ শুরু করা হোক।

২০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন চেয়ছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় যেসব পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি সে সব পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ১৪ শতাংশের নিচে।

সর্বশেষ

এমনটা কেনো করলেন এ. আর রহমান?

হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের সংবাদ পশ্চিমা গণমাধ্যমেও প্রচার পায় জোরালোভাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের...

ন্যানোমিটার সেমিকন্ডাক্টর বা চীপ তৈরিতে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে চীন

বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন। চীনের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিজ কে বাধাগ্রস্ত করতে আমেরিকার ইতোমধ্যেই বেশকিছু...

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানেকুড়িগ্রামের শ্রেষ্ঠ ইউএনও রাসেদুল হাসান

মোঃ মশিউর রহমান, কুড়িগ্রাম: প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় এবছর কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত ও জেলায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩...

কুড়িগ্রামে টানা তিন-দিন ধরে বৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত

মোঃ মশিউর রহমান, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে গত দু'দিন ধরে অবিরাম ধারায় বৃষ্টি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কখনও হালকা আবার কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।ফলে কর্মস্থলে...
bn_BDবাংলা