সাম্প্রতিক শিরোনাম

মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হলো: আইনমন্ত্রী

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্ত্রী রবিবার এক শোকাবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকাবার্তায় বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে তিনি প্রায় ৪০ বছর যাবৎ চেনেন ও জানেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ অনেক মামলা একসঙ্গে পরিচালনা করেছেন।

তাই মরহুমের সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি রয়েছে। মরহুম মাহবুবে আলম নিজ কর্মগুণেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক-এর কাছে ও দেশের মানুষের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হলো।

মাহবুবে আলম রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন(ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

তিনি স্ত্রী বিনতা মাহবুব, একছেলে সুমন মাহবুব ও একমেয়ে শিশির কনাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সিএমএইচ-এ ভর্তি হন। ওইদিনই তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

এরইমধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি করোনামুক্ত হন। সেদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু এরপরই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-এ(আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে নিয়োগ পান।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টানা ১১ বছর ধরে তিনি এ পদে বহাল ছিলেন। পদাধিকার বলে তিনি আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন।

১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৬৯ সালে লোক প্রশাসনে ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

এরপর ১৯৭৩ সালে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভূক্ত হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরবর্তিতে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লির ‘ইনস্টিটিউট অব কনস্টিটিশনাল অ্যান্ড পার্লামেন্টারি ষ্ট্রাডিজ’ থেকে সাংবিধানিক আইন ও সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে মনোনীত হন তিনি। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৯৩-৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতিও নির্বাচিত হন।

তিনি ২০০৪-২০০৭ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...