সাম্প্রতিক শিরোনাম

রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও পুননির্মাণসহ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র মেরামতের প্রয়োজন: রব

৭ নভেম্বর ‘সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও শামসুদ্দিন পেয়ারা বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির ভাষণে আ স ম রব বলেন ব্যক্তি ও দলীয় ক্ষুদ্র স্বার্থে রাষ্ট্রকে জিম্মি করে সরকার জাতীয় স্বার্থবিরোধী এক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে; ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে এক সর্বনাশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইনগত ও নৈতিকভাবে ধ্বংসের শেষ সীমায় নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে।

সুতরাং রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও পুননির্মাণসহ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র মেরামতের প্রয়োজনে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। কোন একক বা দলীয় সরকার বিদ্যমান দুর্বৃত্ত পূর্ণ রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে পারবেনা।

সেজন্য রাজনৈতিক দল, সমাজ শক্তি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, মেধা ও প্রযুক্তির অধিকারী অংশীজনদের কার্যকর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করতে হবে।

রাষ্ট্রীয় গভীর সংকটে মৌলিক করণীয় উপেক্ষা করে শুধুমাত্র রাষ্ট্রক্ষমতা দখল কোনো লক্ষ্য হতে পারে না। উপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কার, নিপীড়নমূলক আইন বাতিল, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সর্বোপরি স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামত করা এই মুহূর্তের মৌলিক কর্তব্য।

রব বলেন ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ সালেও রাষ্ট্রীয় চরম অনিশ্চয়তা, বিশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক  শূন্যতার সংকট নিরসন , উপনিবেশিক ধাঁচের প্রশাসন এবং  সেনাবাহিনীর আমূল সংস্কারের দাবিতে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে আমরা ‘জাতীয় সরকারের’ দাবি উত্থাপন করে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলাম। কিন্তু এ মৌলিক দাবি উপেক্ষা করায় পরবর্তীতে ক্রমাগত রাষ্ট্রীয় সংকট আরো গভীরতর হয়েছে।

সভায় কমরেড খালেকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা তথা শোষণ মুক্তির  লড়াইকে বেগবান করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা রেখে যেতে হবে।

সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা সংঘটিত হয়েছিল ৭ নভেম্বর। এ রাজনীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

শামসুদ্দিন আহমদ পেয়ারা ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ঘটনাবলীর স্মৃতিচারণ করেন।

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন হোসেন তালুকদার বলেন জনগণের অংশীদারিত্বমূলক একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণই ছিল ৭ই নভেম্বরের সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা।

জাতির সে আকাঙ্ক্ষা আজও পূরণ হয়নি। বরং রাষ্ট্রের মৌলিক প্রশ্নে রাজনৈতিক করণীয় সম্পাদন করতে গিয়ে কর্নেল তাহেরের ফাঁসী, অনেকের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং সর্বোপরি দলকে চরম মূল্য দিতে হয়।

দলের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন শ্রম- কর্ম-পেশাজীবী জনগণের অংশীদারিত্ব ভিত্তিক নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেই সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় সা কা ম আনিসুর রহমান খান, মোঃ সিরাজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন রোমান, ব্যারিস্টার ফারাহ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন বলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...