বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অর্থিক সহায়তার কোনো ভাবেই কারচুপি করার সুযোগ নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। কারন এতে অটোমেটেড সিস্টেমে ভেরিফাই করে এরপরই টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। যদি সিস্টেমের সাথে প্রদত্ত নাম, ফোন নাম্বার, এন.আই.ডি নাম্বার না মিলে তবে সেটাকে ছাড় দেয়া হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।
অভিযোগ উঠেছে শতাধিক নামের বিপরীতে ১/২টি ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা গেলে সবার টাকা ওই ১/২টি নম্বরের ব্যক্তিরা পেয়ে যাবেন। তিনি বিষয়টি ব্যাখা করেন।
আজ সারাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে অভিযোগ গুলো সহ ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব। তিনি বলেন, দেশে মেম্বার ৪১ হাজার ১৩৯ জন। নারী মেম্বার ১৩ হাজার ৭১৩ জন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চার হাজার ৫৭১ জন। এরমধ্যে ৪/৫ জন এই অপকর্মটি করেছেন।
আবার এই অনিয়মটি স্থানীয় পর্যায়ে সরকারই ধরেছে। এমন না যে যাচাই-বাছাই শেষে ওরা টাকা পেয়ে গেছেন। আর যদি যাচাই-বাছাই শেষে এ রকম তালিকা কেন্দ্রে আসেও তাও তাদের টাকা পাবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ নামের সঙ্গে ভোটার আইডি নম্বর ও মোবাইল নম্বর অটোমেটেড সিস্টেমে ভেরিফাই করে এরপর টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
করোনাকালীন সংকটের কারণে তৃণমূলের কর্মহীন গরিব ৫০ লাখ পরিবারের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে ঈদ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর তালিকা তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এরমধ্যে হবিগঞ্জ, বাগেরহাটের দুইটি ইউনিয়নসহ কয়েকটি জায়গায় কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট এর স্ট্যাটাসে এছাড়াও তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে ৪/৫ দুর্নীতিবাজও এরকমটি ঘটাবেন না, তা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। ঘটনার প্রতিকার হয়েছে কি-না, সেটা দেখেন। এখন আর কোনো চাল চুরির খবর শোনেন? সব বন্ধ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখেন। দেশ ভালো থাকবে। আপনারাও ভালো থাকবেন।