রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় বানভাসি অনেক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সরকার বানভাসি এসব মানুষের জন্য খাদ্য, নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তবে অসহায় মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
বঙ্গভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে ঈদের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ টেলিভিশিনের (বিটিভি) মাধ্যমে এই বার্তা দেন।
বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন মহামারি করোনার ছোবলে বিশ্ববাসী বিপর্যস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন হয়ে অনেক মানুষই মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যার্ত মানুষরাও যাতে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে, সে ব্যাপারে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করতে হবে।
এসব মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মানবিকতাকে যেন আমরা ভুলে না যাই। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও পরিচর্যায় ডাক্তার-নার্সদের পাশাপাশি পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান সবাই কোরবানি দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোরবানি করতে গিয়ে আমরা যেন পরিবেশ ও প্রতিবেশীদের সমস্যার কারণ না হয়ে উঠি, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমি আশা করব, আপনারা সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করবেন এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণসহ প্রতিটি কার্যক্রম করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করবেন।
ধর্ম মানুষকে কল্যাণ ও আলোর পথ দেখায়। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা ও আচার-আচরণ সমাজে আলোকিত মানুষ তৈরি করে। সমাজ থেকে অন্ধকার ও কুসংস্কার দূর করে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার মধ্যে গড়ে তোলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য বন্ধন।
মহামারির এই সময়ে সবাইকে সচেতন থাকার পাশাপশি জীবনযাপনে ও চলাফেরায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।