চলমান করোনাযুদ্ধে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জীবন বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। করোনাকালে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই ছয় জন দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর নির্দেশে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসা ও সেবার আয়োজন।
এরই ধারাবাহিকতায় আইজিপি’র নির্দেশে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে করোনা আক্রান্ত প্রত্যেক সদস্যকে স্বশরীরে পরিদর্শনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘বিশেষ টিম’ গঠন করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে এই বিশেষ টিমগুলো করোনা আক্রান্ত প্রত্যেক সদস্যকে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে, তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিবে, হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশনে থাকাকালীন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেবে এবং পদমর্যাদা নির্বিশেষে প্রত্যেক সদস্য যাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান- সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
ইতোমধ্যেই ডিএমপি কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি বিশেষ টিম ৮ মে ২০২০ খ্রিঃ শুক্রবার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ এবং করোনা চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বর্ধিতাংশ ডিএমপির ট্রাফিক ব্যারাক, রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদেরকে স্বশরীরে পরিদর্শন করেছে।
এসময় করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা এই বিশেষ টিমকে সামনে পেয়ে উজ্জীবিত হন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। বিশেষ টিমটি সমস্যার কথা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে উদ্যোগ নেয়।
উল্লেখ্য, এ যাবৎ করোনা আক্রান্ত মোট ৯৮ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি’র নির্দেশে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে কেন্দ্রিয় পুলিশ হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ছয়টি বিভাগীয় শহরে হাসপাতাল ভাড়া করে সেখানেও প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে।
আক্রান্ত সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি। পাশাপাশি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউনিট কমান্ডারদের সাথে কথা বলে প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।