সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস এলেই আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। এ আগস্ট মাসে নৃশংস, বর্বর, কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের রক্তাক্ত বিদায় সংঘঠিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তার নিরাপত্তা নিয়ে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
রবিবার নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলায় যখন সরকার সফলতা দেখাচ্ছে, তখন একটি মতলবি মহল এ সফলতার দুর্গে ফাটল ধরানোর অপচেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা জয় করে মহাদুর্যোগের এ সময়ে জনগণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং তার নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, তখন মিডিয়ার কল্যাণে টিকে থাকা বিএনপি সরকারের সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে।
যে কোনো দুর্যোগ এড়িয়ে না গিয়ে শেখ হাসিনা সুদক্ষ নাবিকের মতো হাল ধরেন। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে তার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার পরিপেক্ষিতে সংকট ঘনীভূত হয়নি৷ বন্যার শুরু থেকে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যেন না খেয়ে মারা না যায়৷ শেখ হাসিনার সরকার সব প্রতিকূলতা জয় করে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়েছে, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
করোনা মহামারির মধ্যে শোকের মাস আগস্টের শুরুতে রক্তদান ও প্লাজমা সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করায় কৃষকলীগকে ধন্যবাদ জানান।