জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত ঢাকা-৫, পাবনা-৪, সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন আগস্টের শেষ সপ্তাহ বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ এক দিনে, নাকি চারটি আসনের ভোট একই দিনে হবে তা নিয়ে আজ কমিশনের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৭ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনের নির্বাচন করার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে চারটি আসনের ভোট একই দিনে করতে হলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ভোট হতে পারে।
ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনের সঙ্গে একই দিনে সিরাজগঞ্জ-১ এবং ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন হবে কি না তা আজ কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটের জন্য দুটি চিন্তা করা হচ্ছে। প্রথমত, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাবনা-৪ ও ১ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের ভোট করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় শুধু এই দুই আসনের ভোট আগামী ২৭ আগস্ট বা ৩ সেপ্টেম্বর শুরুতে হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ১৬ সেপ্টম্বর বা ২৩ সেপ্টেম্বর চারটি আসনের ভোট একই দিনে হতে পারে। ইসি সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, সোমবার বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর মোহাম্মদ নাসিম ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সিরাজগঞ্জ-১ আসন ও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের বিষয় ইসির বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লার ঢাকা-৫ ও শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পাবনা-৪ শূন্য আসনের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে করোনা মহামারীর মধ্যেও ভোট করে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধিতে নির্বাচনের ভূমিকা নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিল ইসি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই ভোটে অংশ নেওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ফলে চারটি শূন্য আসনেই ভোট নেওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে তার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারেন। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকা-৫ আসন শূন্য হয়েছে গত ৬ মে। প্রথম ৯০ দিন শেষ হবে ৩ আগস্টপরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে ১ নভেম্বর। পাবনা-৪ আসন শূন্য হয়েছে গত ২ এপ্রিল। প্রথম ৯০ দিন শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। পরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। এদিকে গত ১৩ জুন সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য হয়। শূন্য হওয়ার পরে ৯০ দিন পূর্ণ হবে ১০ সেপ্টেম্বর।
আর পরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে তার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটের আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। মহামারীর কারণে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করা সম্ভব না হলে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে এই উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। একইভাবে ঢাকা-১৮ আসনের শূন্য হয় গত ৯ জুলাই। শূন্য হওয়ার পরে ৯০ দিন পূর্ণ হবে ৬ অক্টোবর। আর পরবর্তী ৯০ দিন শেষ হবে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি।