আগামীকাল ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন ও বিশ্বমানের ননস্টপ ঢাকা-মাওয়া -ভাঙ্গা চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে চালু হতে যাচ্ছে।
এই এক্সেপ্রেসওয়ের মাঝে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার বহুমুখী পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে অবস্থিত। এক্সেপ্রেসওয়ে হয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ৪২ মিনিটে পৌঁছানো যাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা। তাছাড়া উন্নয়নের এই ছোঁয়া পৌঁছে যাবে শহর থেকে তৃণমূলে।ঢাকা মাওয়া এই মহাসড়কের দুই পাশে পাঁচ ফুট করে দুটি লেন করা হয়েছে যেগুলো দিয়ে স্থানীয় যান চলাচল করতে পারবে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ৬ লেনে গিয়ে দাঁড়াবে।
প্রকল্প সূত্রে প্রকাশ, এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার এবং মাদারীপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ের সকল কাজ শেষ। বর্তমানে এক্সেপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়ে গেছে। রাস্তার দুই পাশের সড়কের পাশের রেলিং বসানো এবং সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ। এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সুত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানাযায়, এ প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশের সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার্স কন্সট্রাকশন ব্রিগেট প্রকল্পের সার্বিক কাজ করছেন।এই প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কে সেতু থাকছে ৩১টি (পিসি গার্ডার ২০টি ও আরসিসি ১১টি), বড় সেতু ধলেশ্বরী-১, ধলেশ্বরী-২ এবং আড়িয়াল খাঁ এবং ৪৫টি কালভার্ট, ৩টি ফ্লাইওভার, গ্রেট সেপারেটর হিসেবে ১৫টি আন্ডারপাস ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এবং ভাঙ্গায় ২টি ইন্টারচেঞ্চ এবং চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাসে কাজ শুরু হয় এক্সপ্রেসওয়ের। ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা এর ব্যয় ধরা হয়। পরে ব্যয় বেড়ে মহাসড়কটি নির্মাণে খরচ দাঁড়ায় ১১ হাজার কোটি টাকা।