পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুতপ্ত।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তবে দেশটির অনুতপ্ত হওয়ার কোনো প্রভাব দৃশ্যমান হয়নি দেশের সীমান্তবর্তী কোনো স্থলবন্দরে।
গত দুই দিনে দেশে আগের এলসির একটি পেঁয়াজের ট্রাকও প্রবেশ করেনি দেশের মাটিতে।
জানা গেছে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় গত সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে না। কিন্তু এরই মধ্যে আমদানি করা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে আটকে আছে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ওপারে ভারতে দেড় শতাধিক পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
তিন দিন ধরে আটকে থাকা পেঁয়াজ এরই মধ্যে নষ্ট হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন।
তিনি বলেছেন, প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছিল। কিন্তু ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে সে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
হিলির ব্যবসায়ী সূত্রগুলো বলছে, গত রবিবার পর্যন্ত ক্রয়াদেশ দেওয়া পেঁয়াজ বাংলাদেশে সরবরাহ করবে এমন সিদ্ধান্তের কথা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকলেও গতকাল বুধবার সারা দিনেও পেঁয়াজ আসেনি। ভারতের রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, সে দেশের কাস্টমকে অনুমতি না দেওয়ায় পেঁয়াজ পাঠানো হয়নি।
এদিকে দেশে পেঁয়াজ প্রবেশ করছে-এমন খবরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৭-৭০ টাকা। গতকাল সে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে।