আর মাস তিনেকের মধ্যেই শীত আসছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এসময়টায় ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু-র প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ কারণে আশংকা দেখা দিয়েছে যে ঋতু পরিবর্তনের সময় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে এবং বলা হচ্ছে, প্রথম দফায় সংক্রমণ যত ব্যাপক ছিল – দ্বিতীয় দফায় তা আরো মারাত্মক হবে।এমন খবর প্রকাশ করেছেন বিবিসি।
আজ ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় দেশে রাজধানী ঢাকার মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেশের সর্বশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮২ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ৬৬৭ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৯৩৭ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৬৯৫ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৮৩ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ২ হাজার ৬৬৮ জন মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ৩৬ নারী ১২ জন।
এদিকে ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত, বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৪ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৭২ লাখ ১ হাজার ২৭৭ জন। তবে সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার ২৭১ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৫২ জন আর আশংকা জনক অবস্থায় আছেন ৬৬ হাজার ৩৮৫ জন।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।