ওয়াহিদা খানমের ওপর বর্বরোচিত ও জঘন্য হামলার কারণ ও এর পেছনের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন-উত্তর পর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের (সংসদ সদস্যদের) বলতে পারি যে এই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, সেই সব অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তি হবে এবং আমি এর নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এর পেছনে মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এই ঘটনার তদন্তে কোনো ধরনের ত্রুটি নেই। এর সুষ্ঠু তদন্ত হবে।
হারুন ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির মতো একটি কমিটি গঠন করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
কারণ স্থানীয় তদন্ত কর্মকর্তারা যথাযথ তদন্ত করতে পারবে না বলে তার সন্দেহ।
শেখ হাসিনা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমার দৃষ্টিতে অপরাধীর একমাত্র পরিচয় সে একজন অপরাধী। আমি কখনোই অপরাধী কোন দলের তা দেখব না।
এমনকি তারা যদি আমার দলের সদস্যও হয়, তবুও আমি তাদের রেহাই দেব না এবং আমি এই আদর্শ নিয়েই চলছি। আপনারা (সংসদ সদস্য) ইতোমধ্যেই এটা বুঝেছেন।
ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনাকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্তের পর আরো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আরো বলেন, অনেকে ধারণা করছেন যে এটি একটি চুরির ঘটনা। এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেকটি বিষয়ে যথাযথভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া বা রক্ষা না করার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যারা অপরাধ করে ও যারা অপরাধীদের রক্ষা করে, উভয়ে সমান অপরাধী।
ইউএনও ওয়াহিদাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা নিয়ে আসা হয় এবং তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসস্থানে এই হামলায় ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলী গুরুতর আহত হন।
ওয়াহিদা এখন ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পরদিন (শুক্রবার) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হক ও তার দুই সাথী নাবিউল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাসকে দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে।
দিনাজপুরের একটি আদালত তাদের সকলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment