তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার বা যাদের পাওয়া খুবই জরুরি, তারা পাওয়ার পর নিজের করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার।
যদিও ৫৫ বছরের বেশি বয়স্করা ভ্যাকসিন পাবেন। আমি ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন প্রায়োরিটি অনুযায়ী আমার অবস্থান কোথায়, তা আমি জানি না। তবে যারা প্রায়োরিটি লিস্টে আছেন, তারাই তো পাবেন প্রথমে।
তালিকার মধ্যে একটি জিনিস দেখেছি, ৫৫ বছরের বেশি বয়স্করা ভ্যাকসিন পাবেন। আমার বয়স ৫৫-এর বেশি। আমি ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, দেশের যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার, তারাই পাওয়ার অধিকার রাখেন প্রথমে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণকে দেওয়ার পর আমরা নেব। তো আমিও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার বা যাদের ভ্যাকসিন পাওয়া খুবই জরুরি, তারা পাওয়ার পর আমাদের অধিকার।
মন্ত্রী বলেন- প্রথমত, সেখানে ভোটার টার্নআউট কম হওয়ার প্রধান কারণ করোনা। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও শেষের দিকে তারা হাল ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে ছিল।
তবে নির্বাচনের দিন তারা কিছু সহিংসতা করেছে, বিশেষ করে তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীরা, এমন বিভিন্ন জায়গায় তারা আক্রমণ চালিয়ে ইভিএম ভেঙে দিয়েছে, আক্রমণ চালিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের ছেলেকে তারা আহত করেছে, আরো বেশ কয়েকজন তাদের হামলায় আহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারও বিএনপির কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করেনি। নির্বাচনের সময় তারা এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করছে, কিন্তু এজেন্ট তো যায়নি, বের করবে কাকে।
বেশির ভাগ জায়গায় বিএনপির এজেন্ট যায়নি। সুতরাং যে অভিযোগগুলো করছে এগুলো মুখ রক্ষার জন্য অভিযোগ বলে উল্লেখ করেন তিনি।