একুশ শতকের ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারী
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সুখবর পেল প্রাথমিকের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। গত ছয় মাসের বকেয়া উপবৃত্তি সঙ্গে এবারই প্রথম স্কুল ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য টাকা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত অর্থ ছাড়ের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগেই অভিভাবকদের ফোনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের(তৃতীয় পর্যায়) পরিচালক মো. ইউসুফ আলী জানান, আগামী ১৪ মে’র মধ্যে উপবৃত্তির তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ বিতরণের জন্য সুবিধাভোগীর তালিকা রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের পোর্টালে আপলোডের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়, সরকার রমজানের ঈদের আগেই উপবৃত্তির অর্থ সুবিধাভোগীদের মোবাইলে পাঠাতে চায়। ১৪ মে’র মধ্যে উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর তালিকা রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের পোর্টালে আপলোডে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অধিদপ্তর থেকে প্রকল্প পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, মাসিক ১০০ টাকা হারে ছয়মাসের ৬০০ টাকা উপবৃত্তির সঙ্গে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে নতুন স্কুল ড্রেস, ব্যাগ ও জুতা কেনার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৫০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত জানুয়ারিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ অর্থ ছাত্রছাত্রীরা পায়নি এতদিন। এখন তা বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করে অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।
তবে প্রকল্পের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা গত অক্টোবর থেকে উপবৃত্তির অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। করোনার মধ্যে একনেক সভা না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যাচ্ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অতি সম্প্রতি এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় করোনার মধ্যেও অর্থ ছাড় করা সম্ভব হচ্ছে।