দেশের কয়েক কোটি মানুষ প্রতিবছর এক কোটিরও বেশি পশু কোরবানির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় আসন্ন ঈদুল আযহার পর কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার তীব্রতর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
একমাস ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিত্র অনেকটাই স্থিতিশীল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থা থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী করা সম্ভব যদি আসন্ন কোরবানির ঈদেও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু ঈদে যান চলাচল উন্মুক্ত থাকায় সেটা কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে পশুর হাটে জনসমাগম নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ঈদকে ঘিরে গাদাগাদি করে যেভাবে মানুষ বাড়িতে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ বাড়ার আশংকা থাকে। নিজের, পরিবার ও দেশকে বাঁচাতে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুর রহমান বলেন, আসলে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ভয় নেই। করোনা ভাইরাস যে আছে সেটা অনেকে মনে না করেই চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্থির অবস্থায় আছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকলেও ৭০ ভাগেরও বেশি মানুষের শরীরে উপসর্গ নেই। ডা. আব্দুর রহমান বলেন, মানুষ একটু সচেতন হলে করোনা ভাইরাস আরো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতো। গত ঈদে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, তাই ঈদের পর সংক্রমণ বেড়েছিল। এবারও ঈদের পর বাড়ার আশংকা রয়েছে।
ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানে না। এমনকি বাধ্যতামূলক থাকলেও মাস্ক ব্যবহার করছে না। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা ভাইরাস আরো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে যেভাবে মানুষের যাতায়াত বাড়ছে, তাতে ঈদের পর সংক্রমণ বাড়ার আশংকা রয়েছে। গত ঈদেও সংক্রমণ বেড়েছিল স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে।
অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বলেন, এখনো আমরা স্থির অবস্থায় আছি। যেহেতু আমরা সচেতন না এবং ঈদে যেভাবে মানুষ বাড়িতে যাচ্ছে তাতে ঈদের পর সংক্রমণ বাড়তে পারে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। এর সুফলও তারা পেয়েছে। তাদের দেশে সংক্রমণ নেই বললেই চলে। প্রথমে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিদেশিদের প্রবেশও নিষেধ করেছিল।