বিভাগ জাতীয়

ঈদ ঘিরে যে পরিস্থিতি হবে, সেটা গত ১২-১৩ দিনের অর্জনকে ম্লান করে দিবে

সাম্প্রতিক সংবাদ
মোহাম্মদ শিপন
Sponsored

এখনো সংক্রমণ বাড়ছে তো বাড়ছেই। মৃত্যুও প্রায় একই পর্যায়ে থাকছে। সেই আলোকে আমরা মনে করি, বিধি-নিষেধ যেভাবে চলছিল সেভাবেই চলা উচিত। এটাই আমরা বলেছি। তা না করলে সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটাই হচ্ছে আমাদের গত সোমবারের বৈঠকের মূল কথা।

আমরা যদি বিজ্ঞানের আলোকে বিষয়টির দিকে তাকাই, তবে বলাই যায়, এত দিন বিধি-নিষেধের কারণে মানুষের চলাচল অনেকটাই কম ছিল, মানুষে মানুষে দূরত্ব বজায় ছিল। রেস্তোরাঁয় ভিড়-ঠাসাঠাসি ছিল না।

এর তো একটা সুফল থাকবেই, যা সংক্রমণের বিস্তারের চেইনকে বিচ্ছিন্ন করার কাজ করেছে। কিন্তু এখন ঈদ ঘিরে যে পরিস্থিতি হবে, সেটা গত ১২-১৩ দিনের অর্জনকে ম্লান করে দিতে পারে। ঈদের পরে এর প্রভাব দেখা যাবে হাসপাতালে। তবু সরকার তো অনেক দিক বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, নিতে হয়।

যারা শর্ত মেনে পরিবহন চালু করার কথা বলে, মার্কেট খোলে তারা তো পরে সেই শর্ত মানে না। বাসের কোনো সিট ফাঁকা রাখে না; যাত্রী, ক্রেতা-বিক্রেতার বেশির ভাগই মাস্ক পরে না, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে আড্ডায় মেতে থাকে লোকজন—এই চিত্র সবটাই তো সংক্রমণের বিস্তার বাড়ায়।

এমন অবস্থায় আমার জায়গা থেকে শুধু এটুকুই এখন বলতে পারি, দয়া করে কেউ যেন মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে না যান। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। অতি জরুরি কাজ না থাকলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কারো মধ্যে ন্যূনতম উপসর্গ দেখা গেলে অবশ্যই টেস্ট করাতে হবে। যে পরিবারে বয়স্ক ও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা আছে, সেই পরিবারের অন্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

কারণ দেশে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে, তারা মূলত হয় বয়স্ক কিংবা কোনো না কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত। ফলে তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব এখন পরিবারের অন্যদের। এই পরিবারগুলোতে যাঁরাই বাইরে যাবেন তাঁদের মনে রাখতে হবে, আপনার কারণেই কিন্তু আপনার পরিবারের বয়স্ক বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির বড় কোনো বিপদ হয়ে যেতে পারে।

যে পরিবারগুলোতে মৃত্যু ঘটছে, তারা বুঝতে পারছে এই মহামারির ভয়াবহতা। সামনে কখন কার পরিবার এই বিপদে পড়ে, সেটা কেউ বলতে পারে না। ফলে সতর্কতা ছাড়া আমাদের গতি নেই।

টিকা পেলে টিকা দিতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, টিকা দেওয়া হোক বা না-ই হোক, সবাইকেই মাস্ককে এখন বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হবে করোনার বিরুদ্ধে। এর কোনো বিকল্প নেই।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ : কভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি

Sponsored
Leave a Comment

সর্বশেষ

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…

September 21, 2024

২০২৩ এর সফল ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাইমন সাদিক

সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…

March 4, 2024

ডিআর কঙ্গোতে শান্তিরক্ষী মিশনে  সেনাবাহিনীর ‘আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ মোতায়েন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…

March 3, 2024

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…

January 12, 2024

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…

January 10, 2024

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…

January 7, 2024
Sponsored