স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলোয় করোনারোগীতে ভরে গেছে। রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই না ঢাকা ও দেশের অন্য জেলাগুলোয় এ সমস্যা দেখা দিক।
আমের সিজনে আম কেনাকাটা ও ধানকাটার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজনা যাওয়া আসা করেছে। এ কারণে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া নিজ বাসবভনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন।
সংক্রমণের হার যদি রোধ করতে হয় তাহলে কঠোরভাবে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। কিন্তু তা না করে গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছে যাত্রীরা।
দেশে যখন করোনা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন সারাদেশে ১৫ শর মতো রোগী ছিল। সংক্রমণ বাড়ায় বর্তমানে সারাদেশে ৪ হাজারের মতো রোগী আছে এবং প্রত্যেক দিন প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে এ হারে যদি রোগী বাড়ে, তাহলে কোনো এক সময়ে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
দেশে করোনা টিকা কর্মসূচি এখনো পুরোপুরিভাবে চালু করতে পারিনি। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই টিকা পেয়ে যাব। চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা পাব। ভারতের সাথে যে চুক্তি হয়েছে সেখান থেকেও পাব। কিন্তু এখনো তা পাওয়া যায়নি।
টিকা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু একজন মানুষের সুরক্ষা হয় না, আরও এক মাস সময় লাগে। ভারতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আমাদের দেশেও এসেছে।
এর সংক্রমণের ক্ষমতা ৫০ ভাগের বেশি। কাজেই এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, নিজেদের রক্ষা করতে হবে, পরিবারকে রক্ষা করতে হবে, দেশকে রক্ষা করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীনসহ অন্যান্যরা।