এগার জুলাই মীরসরাই ট্র্যাজেডির নবম বার্ষিকী পালনে এসে সাবেক মন্ত্রীপুত্র, মীরসরাইয়ের আলোকিত পরিবারের সন্তান, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেদ উর রহমান সুমু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন,১১ জুলাই। নির্বাক প্রাণে থমকে যাওয়া দিন । মায়ের দুধের সুগন্ধমাখা সারি সারি লাশের স্মৃতিমাখা।
এ দিনটি আমরা মীরসরাইবাসীর কাছে শোকাবহ দিন। সারা জীবন এ দিনটিকে ভুলতে পারবো না আমরা। কারণ এদিনে ঘটে যায় বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা মীরসরাই ট্র্যাজেডি। শুধু মীরসরাইয়ের আলোচিত ঘটনা নয়, এটি দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেরও একটি আলোচিত ঘটনায় পারিণত হয়। আলোচিত ঘটনা হবেই না বা কেন? একসাথে অকালেই ঝরে যায় ৪৫টি তাজা গোলাপ। যারা এক সময় গন্ধ বিলাতো দেশ ছাড়িয়ে হয়তো বিশ্বেরও কোনো প্রান্তে। কিন্তু গন্ধ বিলানোর আগেই না ফেরার দেশে চলে যায়। পিতার কাঁধে ছিল পুত্রের লাশ, যা একজন পিতার জন্য সবচেয়ে ভারি বস্তু। ছিল মা, বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর গগণবিদারী আর্তনাদ। কেঁদেছে সবাই, কান্না ছাড়া থাকতে পারেনি কেউ।
মীরসরাই ট্র্যাজেডি একটি দুঃসহ কান্নার নাম। আজও ৪৫ পরিবারের স্বজনহারাদের শোকের কান্না শেষ হয়নি। তাদের প্রতি আমরা সকলেই সমবেদনা জানাই। আরো সহস্র বছর ধরে এই শিশুরা মানুষের মনে গেঁথে রইবে ইতিহাস হয়ে। আমাদের সকলের কামনা, এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর কোনদিন না ঘটে এ পৃথিবীর বুকে।
১১ জুলাইর মীরসরাই ট্র্যাজেডি শুধু দেশের ইতিহাসে নয় বিশ্ব কাঁপানো একটি দিন। এই দিনটিকে আমরা আমাদের মাঝে লালন করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের পথ চলায় সতর্কতা অবলম্বন করব। সড়কে শৃংখলা ও যাত্রী সাধারণকে দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ যাত্রী সেবা নিশ্চিত হোক।