সাম্প্রতিক শিরোনাম

একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

দেশে কোনো লোক গৃহহারা থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে আমাদের লক্ষ্য—একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না।

যতটুকু পারি, হয়তো আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই হয়তো সীমিত আকারে আমরা করে দিচ্ছি। তাও যাই হোক একটা ঠিকানা আমি সব মানুষের জন্য করে দেব।

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেশের ভূমি ও গৃহহীনদের জমি ও ঘর প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার খুব আকাঙ্ক্ষা ছিল, নিজ হাতে আপনাদের জমির দলিল তুলে দেই। কিন্তু সেটা পারলাম না এই করোনাভাইরাসের কারণে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যখন এই মানুষগুলো ঘরে থাকবে, আমার মা-বাবা যাঁরা সারা জীবন এই দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে।

লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে।

আশ্রয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৬৬ হাজার ১৮৯টি ঘর আমরা দিচ্ছি। এই ৬৬ হাজার ঘর এত অল্প সময়ের মধ্যে করা অত সহজ কথা নয়।

যারা প্রশাসনে আছেন, সরাসরি আপনারা এই ঘরগুলো তৈরি করেছেন বলেই এটা করা সম্ভব হয়েছে এবং মানসম্মত হয়েছে।

এ জন্য আমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের সরকারি কর্মচারীরা যেভাবে সবসময় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন, এটা অতুলনীয়।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এদেশের কোনো শ্রেণির মানুষ কিন্তু বাদ যাচ্ছে না। বেদে শ্রেণিকে আমরা ঘর করে দিচ্ছি, তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। হিজড়াদের আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি, তাদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

দলিত শ্রেণি বা হরিজন শ্রেণি, তাদের ভালো মানের ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি, চা শ্রমিকদের জন্য করেছি। প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করে দিচ্ছি, যেন সবাই মানসম্মতভাবে বাঁচতে পারে।

আরো এক লাখ ঘরের কাজ শিগগিরই শুরু হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে অনেক কর্মসূচি আমাদের ছিল, সেগুলো করোনার কারণে আমরা করতে পারিনি। করোনা আমাদের জন্য যেমন অভিশাপ নিয়ে এসেছে, তেমনই একদিকে আশীর্বাদও।

কারণ আমরা একটি কাজের দিকেই নজর দিতে পেরেছি। আজ এটাই আমাদের বড় উৎসব যে গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষকে আমরা ঘর দিতে পারলাম। এর চেয়ে বড় আর কোনো উৎসব বাংলাদেশে হতে পারে না।

প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুজিব শতবর্ষ পালন করছে সরকার।

বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতির পিতার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আজ উদ্বোধনের পর পর্যায়ক্রমে এ তালিকার সবাই এই সুবিধা পাবে।

উপকারভোগীদের মধ্যে যাদের জমি আছে, তারা শুধু ঘর পাবে। যাদের জমি নেই, তারা ২ শতাংশ জমি পাবে (বন্দোবস্ত)। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।

সরকারের নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে এসব ঘর। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট থাকছে। টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এই কাজ করছে। খাসজমিতে গুচ্ছ ভিত্তিতে এসব ঘর তৈরি হচ্ছে।

কোথাও কোথাও এসব ঘরের নাম দেওয়া হচ্ছে স্বপ্ননীড় কোথাও নামকরণ হচ্ছে শতনীড় আবার কোথাও মুজিব ভিলেজ।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...