বেতন গ্রেড উন্নীত করা হলেও নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন ফিক্সেশন করার সময় অনেকের বেতন কমে যাচ্ছে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর এই বিষয়টির সমাধান করতে অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয়। আর প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১২ থেকে গ্রেড-১১ তে উন্নীত করা হয়। কিন্তু শিক্ষকদের বর্তমান মূল বেতনের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে অনেক শিক্ষকের বেতন কমে যাচ্ছে। এতে তারা বেতন বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন, সে কারণে মাঠ পর্যায়ে বেতন ফিক্সেশন হচ্ছে না।
সারা দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকদের বেতন উন্নীতকরণ শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান মূল বেতনের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ফলে সরকারির ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পরিবর্তে ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণে এরূপ সমস্যার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করে বৈষম্য নিরসনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই নির্দেশনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট অসন্তোষ নিরসন হবে মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের ন্যায় সংশ্লিষ্ট বেতন স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণে অর্থ বিভাগ জারিকৃত পত্রের অনুরূপ নির্দেশনার জন্য অনুরোধ করা হলো।