সাগরের জাহাজের বর্জ্যের কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছে পরিবেশে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এখনো ভেসে আসছে মৃত, আহত ও জীবিত কাছিমসহ নানা প্রাণী। এখনো সরানো হয়নি প্লাস্টিক, কাঁচের বোতল, অ্যালকোহলের বোতলসহ আবর্জনাগুলো।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন।পাশাপাশি এমন সংবাদ জেনে আহত কাছিম উদ্ধার করে সুস্থ করে পুনরায় সমুদ্রে ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একটি টিম নিয়ে সৈকত এলাকায় উদ্ধার কাজে নেমেছেন কক্সবাজার সায়মন বিচ হোটেলের এমডি,দেশের খ্যাতনামা আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল। ইতিমধ্যে তাঁরা কয়েকটি আহত কাছিম উদ্ধার করে হোটেলের কৈ পুকুরে রেখে সেবা শুষ্রসা করছেন। সুস্থ হয়ে উঠলেই কাছিমগুলোকে আবার সমুদ্রে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানাযায়।
করোনাভাইরাসের সময় চলা লকডাউনের কারণে এখনও জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। পর্যটকসহ স্থানীয়দের যাতায়াত বন্ধ থাকায় সৈকত ও আশপাশের এলাকায় প্রকৃতি ও পরিবেশে ফিরে এসেছিল প্রাণচাঞ্চল্য। কিন্তু গত দুই- তিন দিন থেকে কলাতলী হয়ে হিমছড়ি ইনানী পর্যন্ত সৈকত জুড়ে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রী, তেল ও অ্যালকোহল ভর্তি বোতল, ছেঁড়া জাল, কাঠের টুকরোসহ নানা প্রকার আবর্জনা আসতে থাকে। বর্তমানে সৈকতের ৫৫ কিলোমিটার এলাকা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচারের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশারফ জানান, আজ দিনের ও রাতের জোয়ারে অনেকগুলো আবর্জনার পাশাপাশি মৃত, জীবিত ও আহত কাছিম ভেসে এসেছে।
হিমছড়ি এলাকা থেকে আজ ছয়টি জীবিত কাছিম সাগরের ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মী সিরাজুল ইসলাম।
সৈকত এলাকায় দেখা গেছে, আবর্জনায় আহত কাছিম পড়ে আছে। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সৈকত এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা বা বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন কক্সবাজারের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুদ উপর রহমান বলেন, কাঁচি সাপের পাশাপাশি অনেকগুলো প্রাণীও আসছে। সাগরে বড় ধরনের পরিবেশের বিপর্যয় ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এতগুলো প্রাণী ভেসে আসলেও পরিবেশ ও বন বিভাগের বন্যপ্রাণী বিভাগের উদাসীনতা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, কী কারণে এসব বর্জ্য এখানে এসেছে, এসব বিষয়ে জানার জন্য, একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে আবর্জনাগুলো সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তদন্ত কমিটি থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর করণীয় নির্ধারণ এবং ঘটনায় দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ আকারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি প্রেরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসারুল আবসার গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে পারব। তিনি এ ব্যাপারে পরিবেশ বাদীসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০২৫: পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফাইজুর…
বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের…
"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড"…
আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের…
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
Leave a Comment