আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির পুনর্নির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক।
আন্দোলনের নামে বিএনপির শুধু তর্জন-গর্জনই সার। নির্বাচন এলেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সব সময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়।
মানবিক কারণে বেগম জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন। এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময়সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এই বিএনপি ঢাকা মহানগরীতে একটা বড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি! শেখ হাসিনা মানবিকতা, উদারতা, বেগম জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি চিন্তা করে তাঁর কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেন ছয় মাস।
এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়, এটা শেখ হাসিনার মানবিকতা এবং উদারতার দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, তারা বারবার নির্বাচন ও আন্দোলনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রেস বিফ্রিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন।
পরীক্ষার পরে আন্দোলন, রোজার ঈদের পরে আন্দোলন, কখনো কোরবানির পরে আন্দোলন; কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি।
আজকে বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চাই, আর সাংবাদিকদেরও বলতে চাই, আপনারা কি বিশ্বাস করেন বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাঢ়ে তর্জন-গর্জনের সার কি না?
আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে সরকারে আছে। তার পরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য ওঠানামার পেছনে একটা সিন্ডিকেট সব সময় কাজ করে। তবে সরকার সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে এ কথাটা ঠিক নয়।
আপনি প্রতিবেশী সব দেশের দিকে তাকান, এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজারমূল্য, কোথাও আমদানি-রপ্তানিতে আগের পর্যায়ে কেউ নেই এবং এখানে উৎপাদনেরও একটা ব্যাপার আছে। যেমন- পেঁয়াজ যদি আমাদের দেশে ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা কাছের দেশ ভারত থেকে আনি।
ভারতে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রেও পেঁয়াজের উৎপাদন কম নয়। তখন সেখানে একটা সংকট হয়। সে কারণে তারা বন্ধ করে দেয় রপ্তানি। কিন্তু আমাদের সরকারের চেষ্টার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও উঠানামা করবে। এখন বর্ষা, এ সময় একটু দ্রব্যমূল্য বাড়ে, আবার এগুলো ঠিক হয়ে আসে।
এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আপনাদেরকে তাঁর বিফ্রিংয়ে বলে থাকেন। কাজেই এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।