করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের ভাগ হিসেবে রাষ্ট্রের কারাগারগুলোকে নিরাপদ ও করেনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
ইন্টারন্যাশনাল মন্ত্রণাসভা অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) সহযোগিতায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির গৃহসম্বন্ধীয় যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগ দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৯টি জেলা কারাগারে ইতিমধ্যে বিশেষ কার্যক্রম চালু করেছে। কারাগারের অভ্যন্তরের বন্দিদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে মুক্ত রাখা এবং বাহির হতে যেন কেউ জীবাণু নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা এই কার্যক্রমের মূল ফোকাস বলা হয়ে থাকে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়।
গত ৫ এপ্রিল থেকে আচ্ছাদন কারাগারে এবং ৯ এপ্রিল হতে সারা রাষ্ট্রের কারাগারগুলোতে এই কার্যক্রম চালু করে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির গৃহসম্বন্ধীয় যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগ জানায়, ইতিমধ্যে আইসিআরসি দেশের প্রতিটি কারাগারে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ’ জীবাণুনাশক স্প্রে সরঞ্জামাদি, হ্যান্ড সেনিটাইজার, ফুট-বাথসহ প্রয়োজনীয় নিত্য-ব্যবহার্য সামগ্রী ও সচেতনতামূলক লিফলেট যোগাড় করেছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা এ কার্যক্রমটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে কারা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে।
পাশাপাশি সোসাইটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা কারাগারের ভেতরে প্রবেশকারীদের ভিতরে শরীর সুরক্ষা উপকরণ ইউজ নিশ্চিতকরণ, সোশ্যাল দূরত্ব বজায় রাখাসহ সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক মন্ত্রণাসভা অব দ্য রেড ক্রস এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে যোগ্য হবে।
অপরদিকে, সারা কান্ট্রিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জনগণের মধ্যে পারস্পারিক সোশ্যাল ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং রেগুলার হাত ধোয়ার হ্যাবিট তৈরি করে তুলতে বেসিন স্থাপন করাসহ হাসপাতাল, হাটবাজার, মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ জনসমাগমস্থলকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
এছাড়াও, চট্টগ্রাম জেলা এবং সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট নিজ চেষ্টায় চট্টগ্রামের অসহায় ও নিম্ন ইনকামের মানুষদের মাঝে আহার সহযোগিতা প্রদান করেছে।