করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে করোনাকালে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
স্পিকার ড শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার (নারায়ণগঞ্জ-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে করোনা মোকাবেলায় ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নতকরণ এবং জরুরি প্রস্তুতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ভবিষ্যত কার্যক্রমসমূহ হলো: স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় দ্রুত কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা; পিসিআরসহ ১০টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পাঁচটি সংক্রামকব্যাধি হাসপাতাল ও চারটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে আধুনিক মাইক্রো বায়োলজিক্যাল পরীক্ষাগার সম্প্রসারণ করা; ৮০টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান পিসিআর ল্যাব কার্যকর করা; ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার এবং অতিরিক্ত ১০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট/আইসিইউসহ সর্বমোট ১৭০ শয্যা চালু করা; প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৯২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনফেকসন প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল ইউনিট স্থাপন।
করোনাকালের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিস্তারিত তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ৬৪ টি জেলার পাঁচ হাজার ১০০ জন চিকিৎসক এবং এক হাজার ৭০০ জন নার্সকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট ও ইনফেকশন প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে; ৩৯ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নব নিয়োগ করা দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্সের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তো করোনাকালে নামাজ পড়ে, চা খেয়ে বই-টই পড়ার থাকলে পড়ি। আর একটু হাঁটাহাঁটি করি। গণভবনে একটা লেক আছে। সেই লেকের পাশে বসে মাছ ধরি।