করোনাভাইরাস আমাদের জীবনকে স্থবির করে দিয়েছে। স্থবির সারাবিশ্ব। অনেক মানুষকে আমরা হারিয়েছি। এটা যেন বিস্তার লাভ করতে না পারে সেজন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
কারণ দ্বিতীয় যে ঢেউটা আসছে, সেটা কী পর্যায়ে যাবে এখনও আমরা জানি না। অনেক দেশ অলরেডি লকডাউন করে ফেলেছে, অনেকে কারফিউ দিচ্ছে।
আমরা এখনও সহনশীল অবস্থায় আছি। কিন্তু আমাদেরকে খুব সাবধানে চলতে হবে। করোনার ভ্যাকসিন অগ্রিম বুকিং দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১৬, ১১৭ এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী যেকোনো সময় মহাদুর্যোগ চলে আসতে পারে। সেই সময় বাংলাদেশের মানুষে যেন খাদ্যে কষ্ট না পায়।
আমাদের জমি সীমিত, কিন্তু আমরা রিসার্চ করে আমাদের উৎপাদন বাড়িয়েছি। এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলব। আর সেটার জন্য কিন্তু আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। হঠাৎ করেই কতকগুলো সমস্যা দেখা দিয়েছে।
যেমন: ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি। এগুলো বিরুদ্ধে আপনাদের আরো যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে কারও মুখ চিনে নয়, অপরাধী যেই হোক তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। কিন্তু আরো আমরা উন্নতি করতে চাই। এই দেশটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
জাতির পিতার জীবন সম্পর্কে কর্মকর্তাদের জানতে পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কারণ এই দেশটাকে জানতে হলে আর দেশের উন্নয়নটা করতে হলে তার চিন্তা ভাবনাটাও জানা একান্তভাবে প্রয়োজন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।