করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের অনেক দেশেই করোনা আক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা যাচ্ছে। এই দ্বিতীয় ঢেউ যদি বাংলাদেশে আসে তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে কৃষি খাত।
এক্ষেত্রে আমাদেরকে যে ধরনের পরিস্থিতিই আসুক না কেন তা মোকাবেলা করে কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য সেটি বিবেচনায় নিয়ে সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় সভায় এ কথা বলেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাসে দেশে করোনা আক্রমণের শুরুর দিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকেরা মাঠে কাজ করেছে। ফসলের উৎপাদন ও কর্তন অব্যাহত রাখে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর কর্মকর্তারাও জীবনের ঝুঁকি কৃষকের পাশে ছিল। সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনা, আম্পান ও দীর্ঘমেয়াদি বন্যা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
এখন পর্যন্ত দেশে খাদ্য নিয়ে কোন বিপর্যয় হয় নাই, কোনো খাদ্য সংকট হয় নাই। আশা করি আগামী দিনেও খাদ্যের কোনো সংকট হবে না। তারপরও করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি থাকতে হবে যাতে করে আমরা কৃষি উৎপাদনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারি।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থ বছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৯ শতাংশ।