করোনা আক্রান্ত ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) সভাপতি বর্ষীয়ান শ্রমিকনেতা শাহ আতিউল ইসলাম মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
শাহ আতিউল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ। জোটের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ-আল কাফি রতন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁর মৃত্যুতে এদেশের গার্মেন্ট শিল্পসহ সকল শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষ একজন অভিভাবক ও আজীবন সংগ্রামী নেতাকে হারালো।
বাম গণতান্ত্রিক জোট গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সাথে তার অবদান স্মরণ করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে।
তাঁর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সাম্যবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ষাট দশকে খুলনার দৌলতপুর-খালিশপুরে শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন শাহ আতিউল ইসলাম। তিনি এরপর থেকে সংগ্রামী ধারায় শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি তার সমগ্র জীবনটাই জনগণের মুক্তি সংগ্রামে উৎসর্গ করেন। এমন নিবেদিত, ন্যায়নিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল নেতা শ্রমিক আন্দোলনে অভাব রয়েছে।
শ্রমিকনেতা শাহ আতিউল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার।
এছাড়া ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক ও সমাবেদনা জানানো হয়েছে।