বিশ্বব্যাপী একুশ শতকের ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে, বাংলাদেশ সরকার যেসব উদ্যোগ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একমত ও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতিসংঘ।
গতকাল শনিবার রাতে বৈশ্বিক সংস্থা জাতিসংঘের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, ‘জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়াপ্রদান পরিকল্পনা (কান্ট্রি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান) হলো একটি পরিকল্পনার নথি, যা যৌথভাবে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর সুশীল সমাজের অংশীদার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠাণের সহযোগিতায় প্রস্তুত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র বৈশ্বিক নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রস্তুত করা এই নথির উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে সরকারের সারাপ্রদানে সহায়তা করতে জাতিসংঘের সংস্থা ও অংশীদারদের কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা।’
কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার সঙ্গে জাতিসংঘ সম্পূর্ণরূপে একমত’, এমন তথ্য জানিয়ে বার্তায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে অতি দ্রুততার সাথে বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইন ও আইসোলেশন, এই ভাইরাসটির ঝুঁকির ব্যাপারে ব্যাপকভাবে অবহিত করা, সামাজিক দূরত্ব (সোস্যাল ডিসটেন্সিং), সামাজিক সুরক্ষা (সোস্যাল প্রোটেকশন) এবং বিদ্যালয় ও জনসমাগম হয়— এমন স্থানগুলো বন্ধ করে দেওয়া। বৈশ্বিক স্বীকৃত যে মডেলিং পদ্ধতির দ্বারা এই নথিটি পরিচালিত তাতে দেখানো হয়েছে, এই ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এই মহামারির কতটা বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বার্তায় আরো বলা হয়, ‘এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য অতি দ্রুত কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা সবাইকে এসব ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। এর ফলে, সরকার ও জাতিসংঘের সংস্থা, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য বেশকিছুটা সময় পাবে এবং তার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সরকারকে এই মহামারিকে দমন করতে সহযোগিতা করতে পারবে।’