বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এ অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। আর করোনা যখন দেশের অগ্রযাত্রা থামাতে পারেনি, তখন আর কেউ পারবে না- এটাই আমার বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ এবং গবেষণা-অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শিল্প কারখানায় গবেষণা ও উন্নয়ন শাখাকে কার্যকরী ও শক্তিশালী করতে হবে। গবেষণার মধ্য দিয়ে আমরা ব্যয় কমাতে পারি। উৎপাদনে উৎকর্ষতা বাড়াতে পারি, পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এ অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। আর করোনা ভাইরাস যখন পারে নাই, তখন আর কেউ পারবে না- এটাই আমার বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা এরই মধ্যে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, যেসব অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। সেখানেও গবেষণা একান্ত প্রয়োজন।
দেশকে এগিয়ে নিতে গবেষণা ও বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণা ও বিজ্ঞানের প্রসার একটা দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। কাজেই আপনারা এ গবেষণা চালিয়ে যাবেন।
আপনাদের পথ ধরে আগামী প্রজন্মও এ বিজ্ঞানের গবেষণা করবে বলে আশা করি। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে আমরা এগিয়ে যাব। গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে, যাতে বাংলাদেশ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেটাই আমরা চাই।’
মানবকল্যাণে গবেষণার তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘মানবকল্যাণেই কাজ করতে হবে। আপনারা এটুকু মনে রাখবেন, আমরা যে ফেলোশিপ দিচ্ছি বা অর্থ বরাদ্দ করেছি, এটা কিন্তু জনগণেরই অর্থ।
কাজেই তা যেন জনগণের কল্যাণে লাগে। আমরা চাই, জনগণের কল্যাণেই যেন সে অর্থ কাজে লাগে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা গবেষণা চালিয়ে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি খাতে আমরা শুধু একটা বা দুইটা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করে রপ্তানি করতে পারি।
তার মধ্যে যেমন ডিজিটাল ডিভাইসগুলো। অর্থাৎ এখন আমরা যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশ, কাজেই এ ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন আমরা কিন্তু সেগুলো করতে সক্ষম, আমরা তা পারি।
নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক সুযোগ রয়েছে, আমাদের রপ্তানি পণ্য বাড়াতে হলে কিন্তু গবেষণার প্রয়োজন আছে।
কাজেই আমি আশা করি, সবাই নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং আমাদের রপ্তানি যেন অব্যাহত থাকে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করে দেশে এবং বিদেশেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাবে। আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান তুলে দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment