শতাব্দীর ভয়াবহ মহামারী ঘাতক করোনাভাইরাসের সংকট দেশে যতদিন থাকবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ততদিন জনগণের পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওশামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ২৯ মার্চ রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসোর কারণে বিশ্ব মারাত্মক সংকটের মুখে। থমকে গেছে সব ধরণের স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রা অবশ্যম্ভাবী। এ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের সচেতনতামূলক ও সামাজিক কর্মসূচি সারাদেশে চলমান রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যবিধি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ যারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণের সুখ-দুঃখ আবেগকে ধারণ করেই রাজনীতি করে। বৈশ্বিক এ সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিকভাবে সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। গ্রহণ করছেন স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও কর্মসূচি।যতদিন এ সংকট থাকবে শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ততদিন জনগণের পাশে থাকবে এবং সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সারাদেশে অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান জানাই মানবিক বিপর্যয়ের এ দিনে আপনারা যার যার অবস্থান থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।অতীত ইতিহাস থেকে লক্ষ্য করা যায় এ দেশের জনগণ সব সময় ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সব ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলাকরেছে।
তিনি বলেন, কোনও দুর্যোগের কাছেই তারা পরাজিত হয়নি। আপনারা কোনও প্রকার গুজবে কান দিবেন না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।