মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত কয়েদি রাজাকার মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মাহবুবুর রহমান টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সদরের বাইমহাটী গ্রামের প্রয়াত রাজাকার মৌলানা আব্দুল অদুদের ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল এর প্রতিষ্ঠাতা এশিয়াখ্যাত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা, তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবি, রণদার ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহা, রাখাল মতলব ও রণদা প্রসাদ সাহার দারোয়ানসহ সাতজনকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের বাইমহাটী, পোস্টকামুরী, মির্জাপুর, সরিষাদাইড়, আন্ধরা এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউস এলাকায় গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগসহ অপরাধে জড়িত।
মাহবুবুর রহমান একসময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ছিলেন। তিনি নির্দলীয়ভাবে মির্জাপুর সদর ইউনিয়ন ও পরে পৌরসভা নির্বাচনে তিনবার অংশগ্রহন করে পরাজিত হন।
২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল মাহবুবুরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত শুরুর পর ট্রাইব্যুনাল থেকে পরোয়ানা জারি হলে একই বছর ৭ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
একই বছর ২৮ মার্চ রাজাকার মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলাটি তদন্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারি পুলিশ সুপার মো. আতাউর রহমান।
২০১৯ সালের ২৭ জুন মুহবুবুর রহমানের ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকেই তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান সংবাদিকদের বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন মাহবুবুর রহমান।
তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। ভোর রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষার পর মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাহবুবুর রহমানের কয়েদি নম্বর ছিল ৪৪১২/এ।
মাহবুবুর রহমানের ছোট বোন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আমার বাবা রাজাকার ছিলেন কিন্তু আমার ভাই মাহবুবুর রহমান রাজাকার ছিলেন না। আল্লাহ তাকে জুম্মার দিনে ভালোভাবে মৃত্যু দিয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment