কিশোরী মেয়েটি বসে আছে। হঠাৎ কাধে অনুভব করলো একটি হাতের স্পর্শ। ঘুরে তাকাতেই দেখলেন হাসিমাখা মুখটি। বিশ্বের একজন ব্যস্ততম রাষ্ট্রনায়ক দাঁড়িয়ে।
উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করতেই তিনি মেয়েটিকে বললেন- কেমন আছো তুমি? বসো উঠতে হবে না। মেয়েটিকে মায়ের আলিঙ্গনে জড়ালেন। কপালে এঁকে দিলেন মমতার চুম্বন।
মেয়েটি মালালা ইউসুফজাই, পাকিস্তানি শিক্ষা আন্দোলনকর্মী। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর, পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়, বাসে একজন তালিবান বন্দুকধারী তাকে হত্যা করতে তিনটি গুলি ছোড়ে, যার মধ্যে একটি তার কপালের বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে মুখুমণ্ডল ও গলা দিয়ে কাঁধে পৌঁছায়।
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ সাল; জাতিসংঘ সদর দফতরে সেই মালালাকে যিনি স্নেহের পরশে মায়ের আলিঙ্গনে জড়ালেন, তিনি আর কেউ না, একজন মানবিক রাষ্ট্রনায়ক। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
মালালাকে মায়ের আলিঙ্গনে জড়িয়ে তাঁর কপালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমতার চুম্বন। জাতিসংঘ সদর দফতরে ইকোসক চেম্বারে এই আবেগঘন দৃশ্য দেখছিলেন বিশ্বনেতারা।
লাইভ টেলিকাস্টে তা হয়তো দেখেছেন কোটি বিশ্ববাসী। এর আগেই মালালাকে মেয়েদের অধিকার আর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বের সাহসী কণ্ঠস্বর বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর শেখ হাসিনাকে তার অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেন মালালা ইউসুফ জাই।
গ্লোবাল এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মালালার সাহসী বক্তব্য বিশ্ব নেতাদের মন জয় করে নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দারুণভাবে আলোড়িত হন ছোট্ট মেয়েটির বিশ্বমানের বক্তৃতায়।
পরের বছর, অক্টোবর ২০১৪ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে মালালা হলেন শান্তিতে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব।
শেখ হাসিনা, দুটি শব্দের একটি নাম। বিশ্ব নেতৃত্বে এক উজ্জল নক্ষত্র। আজ বিশ্ব মানব সমাজ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে “মাদার অব হিউম্যানিটি”, “ডটার অব পিস”, কত উপমাতেই না ডাকে। যোগ্য পিতা-মাতার সুযোগ্য তনয়া। বিশ্ব মানব পরিবারকে আজ তিনি তাঁর অনন্য মানবতা ও মমতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী, পরিচয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রী না। তিনি জাতির জনকের কন্যা, মমতাময়ী মা। বিশালতম মায়ের নিরাপদ মাতৃস্নেহের আচলের নাম শেখ হাসিনা। তাঁর মানবিকতা, স্নেহ মমতার এই একটি নামের মাঝেই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সকল মানুষের নিরপদ আশ্রয়স্থল।
সৃষ্টিকর্তার পরে আমাদের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। স্যালুট মমতাময়ী জননী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।