বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা না হলে কোরবানির পশুর হাট করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যেখানে-সেখানে পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে কোরবানির পশুর হাট ঝুঁকি ভয়ানক মাত্রায় নিতে পারে।
আজ ১ জুলাই আজ বুধবার তার সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, অসহায়, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ করোনার লক্ষণ দেখা দিলে ফি দিয়ে পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য নেই। এতে তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে এবং সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে। তাই খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
লকডাউন শেষ হওয়া এলাকাসমূহে সংক্রমণ রোধে ইতিবাচক ফল এসেছে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই মতামত তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার আরও কিছু এলাকায় সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আপাত এই বিচ্ছিন্নতা সকলের কল্যাণের জন্য। সাময়িক এ বিচ্ছিন্নতা দীর্ঘ মেয়াদে প্রিয়জনদের সান্নিধ্য নিশ্চিত করার জন্যই করা হচ্ছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিবিড়ভাবে বন্যা পরিস্থিতি মনিটর করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বন্যা কবলিত জেলাসমূহে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ যে সক্ষমতা দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই ধারাবাহিকতায় এবারও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।