করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যেও তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খোলা রাখতে চান মালিকরা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সন্ধ্যার পর সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনে সব ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে মালিকরা গার্মেন্টস খোলা রাখতে চান। এ সেক্টরে কর্মরতরা বাসা থেকে বের হয়ে সোজা ফ্যাক্টরিতে যান।
ফ্যাক্টরিতে ঢোকার সময় তাদের পরীক্ষা করা হয়, শরীর কেমন সেটি দেখা হয়। তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা হয়, মাস্ক পরানো হয়। আবার একইভাবে তারা বাসায় ফিরে যান। ফলে সমাজের আরেক শ্রেণির সঙ্গে মেশার সুযোগ তাদের খুব কম।
মালিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গার্মেন্টস সেক্টরে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে এ রোগের বিস্তার খুব কম। তাদের যে লজিক আমরা যেহেতু মেইনটেইন করেছি, বিদেশে প্রোডাক্ট যাবে সেটি জাতির স্বার্থে দরকার।
সামনে ঈদ আসছে, বেতন-বোনাসের বিষয় রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় তারা যেটি বলছে যা আমাদের বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন হতে পারে, সেটি হলো- আজকে ৪০ লাখ শ্রমিককে যদি ছুটি দিয়ে দেই গতবারের অভিজ্ঞতা বলে এসব শ্রমিককে আমরা ঢাকা বা ঢাকার আশেপাশে রাখতে পারিনি। তাদের সুরক্ষিত রাখতে পারলে হয়তো বিস্তৃতিটা কমবে। এসব লজিক তারা উপস্থাপন করেছে।
বিধিনিষেধ মেনে পোশাক কারখানা খোলা রাখা হতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা যেহেতু ঠিক করেছি বিদেশে পণ্য যাবে, এ ছাড়া সামনে ঈদ আসছে, বেতন-বোনাসের বিষয় রয়েছে। মালিকরা এমন একটি বিষয় বলেছে, যা আমাদের বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানান তিনি।