প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আজকেও আমি অনেকগুলো এসএমএস পেলাম যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ মানে… খাবারের জন্য হাহাকার। আমরা চেষ্টা করব প্রত্যেকটা মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার।”৫০টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এদিন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদানের চেক হস্তান্তর করতে তার কার্যালয়ে গেলে সরকারপ্রধানের পক্ষে তার মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস তা গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ওই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলা বা উপজেলা- যে কোনো জায়গা থেকে যখনই কোনো পরিবারের দুর্ভোগের খবর পাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। “এভাবে আমি মনে করি সকলেই যদি খোঁজ খবর রাখি… আসলে ‘সকলে আমরা সকলের তরে,, ‘মানুষ মানুষের জন্য’- এই নীতিতে যদি বিশ্বাস করি, তাহলে কিন্তু মানুষের এই অসুবিধাটা থাকে না “
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেক মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, আমি প্রতিনিয়তই খবর পাই।… বিশেষ করে যারা একেবারে ছোটখাটো ব্যবসা বাণিজ্য করত বা একটু কিছু কাজ করে খেত, তাদের কাজ করার সুযোগ নেই। পাশাপাশি আমাদের দিন মজুর থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সকলে আজকে কষ্ট ভোগ করছে।” বাংলাদেশ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে কেউ ভিক্ষা চাইতেও আসত না। “এমনকি এই শবে বরাতে রুটি বিলাতে গেলে দেবার লোকও পাওয়া যাচ্ছিল না। আসলে আর্থিকভাবে মানুষের এত স্বচ্ছলতা এসেছিল, কিন্তু এবারের করোনাভাইরাসের ফলে অনেক মানুষই এখন খুবই কষ্ট পাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক।”
কষ্টে থাকা এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। সকলকে বলব, যে নিজেরা একটু খোঁজ নেবেন। সবাই তো আর হাত পাততে পারবে না, সবাই এসে চাইতেও পারবে না। এরকম বৃহৎ একটা জনগোষ্ঠী আছে, তাদের কথা আমাদের চিন্তা করতে হবে।” “ঘরে বসে দোয়া করতে হবে যেন এই বিপদ থেকে আল্লাহ বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের জনগণকে এবং বিশ্ববাসীকে যেন মুক্তি দেয়।”