শতাব্দীর ভয়াবহ মহামারী করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগে আক্রান্তদের বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা না দিলে সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ ৪ এপ্রিল শনিবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা বেড পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সাধারণ রোগে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মানুষ এখন বিপদে আছে, এই বিপদে তারা (প্রাইভেট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানসমূহ) যদি চিকিৎসা না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকে তবে সরকারও তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে লাইসেন্স বাতিল সহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবেলা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। দেশে আজও ৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ২ জন মারা গেছেন। গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস কঠিন মূর্তি ধারণ করছে। কাজেই সামনে আমাদের সতর্ক না হয়ে আর উপায় নেই। প্রত্যেকেরই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এখন থেকে সামনের কিছুদিন ঘর থেকে খুব জরুরি না হলে বাইরে বের হওয়াই উচিত হবেনা। আর বাইরে কোনো প্রয়োজনে বের হলেই মুখে মাস্ক পরে বের হতে হবে।
জনসমাগমে কম অংশ নেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, বারবার অনুরোধ করার পরও দেখা যাচ্ছে মানুষ জনসমাগম পরিহার করতে চাইছেন না। জুমার নামাজে মসজিদ ভর্তি হয়েও রাস্তা পর্যন্ত লোক দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরানের মতো মুসলিম দেশ যেখানে এই সময়ে মসজিদে গিয়ে নামাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অথচ আমাদের দেশে এটি কোনভাবেই মানছে না। এভাবে নিয়ম অগ্রাহ্য করলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কঠিন হবে।
এসময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।