স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার (২৬ জুন) জানিয়েছেন চীনা ভ্যাকসিন প্রথম ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। তাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ট্রায়াল বাংলাদেশে হতে পারে। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের আয়োজনে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চীনে আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল বাংলাদেশে হতে পারে। এই ট্রায়ালের সূত্র ধরে বাংলাদেশেও এর উৎপাদন শুরু হতে পারে। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য করোনা মোকাবিলায় আরেক ধাপ সাফল্য বয়ে আনবে।’
শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে ৪ হাজার ৮ জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে।
আরও পড়ুন: ‘দেশে ১৩ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন’
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্তের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫০০ জন। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। এদিন মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪৩০ জনের।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর টেক্সাস, আলাবামা, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, আইডাহো, মিসিসিপি, মিসৌরি, নেভাডা, ওকলাহোমা, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ও ওয়াইমিং অঙ্গরাজ্যে আবারও ভয়াবহভাবে করোনা শনাক্ত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসেবে এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষের। সেরে উঠেছেন সাড়ে ১০ লাখ ৫২ হাজার। করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।