মাদারীপুরে প্রাইভেটকারে ছাগল চুরির ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তুহিন দর্জিসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক সাইদুর রহমান পাঁচজনকেই কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারে ছাগল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পরে তুহিন দর্জি ও তার চার সহযোগী।
পরে তাদের নামে সদর মডেল থানায় ছাগল চুরির অভিযোগ এনে লোকমান মালোত নামে এক কৃষক মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তুহিন দর্জি ও তার চার সহযোগী জুবায়ের হাওলাদার, রানা বেপারী, রবিউল ইসলাম ও মাহবুব তালুকদার।
তুহিন দর্জি শহরের ইটেরপুল এলাকার ও জেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর ঘটমাঝি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির দর্জির ছেলে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে নিজস্ব একটি প্রাইভেটকারে স্থানীয় লোকমান মালোতের পালিত একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল।
বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে তারা সেখান থেকে দ্রুত সটকে পরে। পরে টইল পুলিশকে জানালে পুলিশ চুরি হওয়া ছাগল বহন করা প্রাইভেটকারটি গতিরোধ করে।
পরে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দর্জিসহ তার চার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত ওই প্রাইভেটকার জব্দ ও ছাগল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই মাসে পখিরা এলাকা থেকে আরও ৫টি গৃহপালিত ছাগল খোঁয়া গেছে। তুহিন ও তার সহযোগী এই চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তুহিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির ঘটনায় ৩৭৯/৪১১ ধারায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতার সবাইকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত সবাইকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। এছাড়া চুরি হওয়া ছাগল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জব্দ হওয়া প্রাইভেটকারটি পুলিশের হেফাজতে রাখা আছে।