সাম্প্রতিক শিরোনাম

ছয় দফার অজানা ইতিহাস!

তারকাবিহীন অমানিশার রাতে বাংলার আকাশ ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা। ঘনঘাটা সেই ভয়ানক রাতে বাংলার আশা- ভরষা যেন দুমড়ে মচড়ে যাচ্ছিল। তখন কি কেউ এমন ছিল যে এসে সকলের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্য লড়বেন। অন্যান্য সকল নেতারাই কারাগারের রুদ্ধ প্রকোষ্ঠ ঘরে। জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রাষ্ট্রকে তার অসীম সাহষিকতায়।

১৯৬৫ সনে তিনি পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। প্রায় দেড় বছর পাকিস্তানের কারাগারে থাকার পরে মুক্ত হয়ে পড়ে যান জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে। বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। ৬ দফার আন্দোলনে তিনি ছাত্রলীগের সকল ছেলেদের ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। ১৯৬৬ সনে ৬ দফার পক্ষে এমন ভয়ানক সফল হরতাল করার ফলে অন্তরাত্না কেপে ওঠে শাষক পাকিস্তানি জান্তার। ঢাকা – নারায়ণগঞ্জ হরতালের এমন অভূতপূর্ব সফলতা না হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মই হতো না সকল বিশ্লেষকদের দাবি এমনই কিন্তু লুক্কায়িত থাকে পর্দার আড়ালের বাঙালি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষটি। এমন ভয়াবহ জনসমর্থনের কারণে পাকিস্তান সরকার ভয়ে তাকে গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানোর জন্য। এসময়ে মোট আটটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে যেন বোবা করে দেয়া যায় গোটা বাঙালি জাতিকে!!
এরপর ৬৯ সনে তিনি মুক্তি পান সকল রাজবন্দিদের সাথে। তার জেল থাকাকালীন সময়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় তারই হাতে বানানো একঝাঁক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এদের মধ্যে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজুল আলম খান প্রমূখ।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি অদ্বিতীয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬০-৬৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সনে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং আটক হয়ে কারাগারে ছয় মাস অন্তরীণ থাকেন।

১৯৬৪ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্ণর আব্দুল মোনেম খানের কাছ থেকে সনদ নিতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানান এবং সরকারের গনবিরোধী শিক্ষানীতির প্রতিবাদে সমাবর্তন বর্জন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এমন দুঃসাহসিকতা তাকে ছাত্রদের প্রিয় করে তুলেছিল। যদিও এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সনদ বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে তিনি মামলা করে এ সনদ ফিরে পান।

মুক্তিযুদ্ধে তিনি সম্মূখ যোদ্ধা হিসাবে মুজিব বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। যদিও এ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে সে ইতিহাস অন্যদিনের জন্য রেখে দিলাম।

তার একটি উক্তি ছিল -” রাজনৈতিক যুদ্ধে আমাদের পরাজিত এমন শক্তি বাংলাদেশে জন্মাবে না কিন্তু আমাদের সমাজনীতি, অর্থনীতি যদি ব্যর্থ হয়ে যায় তবে আমাদের রাজনীতিটাই টিকবে না।”

তার এ দূরদৃষ্টিপূর্ণ অভিব্যক্তির দ্বারাই বুঝা যায় তিনি কতটা প্রাজ্ঞ ছিলেন। হ্যাঁ তার শত্রুরাই অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করেই তার বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নিয়েছে। তার চিন্তাধারা ছিল ভীষণ আলোকিত। তিনি যে শুধু একজন রাজনীতিবিদ তাই নয় তিনি একাধারে চিন্তাশীল দার্শনিক, একজন সুনিপুণ লেখক ও সাংবাদিকও বটে। তিনি শিল্প ও সাহিত্যের সংঘের আলোকে ছাত্রলীগকে পুনর্জীবিত করার কাজে সর্বদাই আত্ননিয়োগ করেছিলেন।

কবি আসাদ চৌধুরী তার সম্পর্কে বলেছিলেন, “সেই সময় ছিল যখন ত্যাগ – ব্রতের রাজনীতিতে তাদের ঘিরে যারা জড়ো হতেন, তাদের মাঝে গভীর দেশপ্রেম ছিল।
তার অনবদ্য ভূমিকায় কেবল রাজনীতি নয় বরং সাহিত্যে এবং সাংবাদিকতায়ও অবদান রাখেন। তার লেখা ‘অবাঞ্চিতা ‘ উপন্যাস পাঠক সমাজে আলোড়ন তুলেছিল। আর ‘গীতা রায়’ তার অনবদ্য সৃষ্টি।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ছয় দফাই যে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছিল তা মনে প্রাণে ধ্যানে এক করে নেমেছিলেন। হ্যাঁ তিনিই সেই ব্যক্তি শেখ ফজলুল হক মণি যিনি সেদিনের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সমগ্র বাঙালি জাতিকে নিয়ে তাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতাকে উদ্ধারের জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন আর সূর্যের প্রখরময় নেতার আলোয় আলোকিত হয়ে চন্দ্রের ন্যায় আলোকচ্ছটা ছড়িয়েছিল।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...