নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)।
বুধবার (১৭ মার্চ) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও ইউজিসি ভবনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও ইউজিসি’র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্যরা বলেন, বাঙালি জাতির সৌভাগ্য যে তাঁরা মুক্তির মহানায়কের ১০১তম জন্মদিন উদযাপনের সুযোগ পেয়েছেন।
তাঁরা তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ধারণ করে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, দেশপ্রেম ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়া জাতীয় শিশু দিবসে শিশুদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও গবেষণা দর্শন নিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া হবে। গুণগত উচ্চশিক্ষা, জীবনমুখী গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রমে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
দেশে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তাঁরা।
এসময় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু।