বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের প্রতিহিংসার আগুন কোনোভাবেই থামছে না।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ, গৌরবোজ্জ্বল ও সাহসী ভূমিকা এবং পরবর্তীকালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ায় যুগান্তকারী নেতৃত্ব প্রদান করার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে ঢাকার মালিটোলায় জিয়াউর রহমানের নামে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঢাকার তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
বর্তমান সরকার উক্ত বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। পুরান ঢাকার মালিটোলায় অবস্থিত ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়’ এর নাম পরিবর্তনের ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসার আগুন যেন কোনোভাবেই নিভছে না। দেশের সঠিক ইতিহাস নিশ্চিহ্ন করার ঘৃণ্য পাঁয়তারা ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত গতিতে চলমান রয়েছে।
বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলাসহ বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ চেহারা জনগণের কাছে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
জিয়াউর রহমান এদেশের একজন সফল রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আর এটিই আওয়ামী লীগের অন্তর্জ্বালার কারণ।
তাই আওয়ামী লীগ সরকার একের পর এক বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জিয়ার নাম মুছে দেওয়ার মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই পুরান ঢাকার মালিটোলায় অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এর নাম পরিবর্তন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।