প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সংসার টিকে রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পর বেগম জিয়াকে ঘরে নিতে চাননি।
কারণ তার আরেকটি ঘটনা আছে, সেটি আমি জানি। এই সংসারটি টিকিয়ে রাখার জন্য জিয়াকে পদোন্নতি দিয়ে ঢাকায় এনে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
শনিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় জিয়াউর রহমান কুমিল্লায় ছিলেন। তখন তাকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং উপসেনাপ্রধান করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাকে উপসেনাপ্রধান করেন।
ওই সময় তাকে প্রমোশন দিয়ে মেজর থেকে মেজর জেনারেল করেন বঙ্গবন্ধু। আর সেই জিয়াই ষড়যন্ত্র করে মোশতাক, কর্নেল রশিদ ফারুককে নিয়ে। মোশতাক যখন অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান বানায়।
সেই মোশতাককে হটিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয়। জিয়া ছিল একদিকে সেনাপ্রধান আরেকদিকে ছিল দেশের রাষ্ট্রপতি। এর আগে আইযুব খান এই একই দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিল।
আজ বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনাবাহিনীতে থেকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল যার মূল শক্তি ছিল জিয়াউর রহমান। তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ছিল। জিয়াউর রহমান না থাকলে এই পরিকল্পনা করতে পারত না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারব্যবস্থায় যত উন্নয়ন হয়েছে, তার সবটাই আওয়ামী লীগের সময় হয়েছে। বিএনপির আমলে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েও বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের সময় এক ছাত্রদল নেতার ঘাড়ে হাত রেখে আলোচনা করে বিচারপতির রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এ ছাড়া ভোট চুরির সুযোগ তৈরির জন্য প্রধান বিচারপতির মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার বিষয়টিও করেছিল বিএনপি।