মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে গতকাল ০৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ৭২তম সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর জিয়া ও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ৪ খুনি “মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
সরকারের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট অনুসারে জিয়া ও ৪ খুনির প্রাপ্ত খেতাব হলোঃ-
★জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)
★শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম)
★নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম)
★রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক)
★মোসলেহ উদ্দিন খান (বীর প্রতীক)।
জামুকার এই সিদ্ধান্তের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সংবিধান লঙ্ঘন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকা এবং আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন এবং
রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনসহ নানা কারণে সাবেক স্বৈরশাসক মেজর জিয়াউর রহমানকে
এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে আত্মস্বীকৃত ৪ খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের “মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় (জামুকা)।
খোন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ‘স্মরণীয় বরণীয়’ ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিলের একই বৈঠকে জামুকা।
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এখন এটা প্রস্তাব আকারে পাঠাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এবং মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।